৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় ওবায়দুল কাদের

বিএনপি ভুয়া, তাদের সঙ্গে জনগণ নেই

প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপিকে ভুয়া দল আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে দেশের জনগণ নেই, আগেও ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না। গতকাল বিকালে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আগামীকাল রোববার আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার দলটি আয়োজন করেছে আনন্দ শোভাযাত্রার। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত এ আনন্দ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমাদের ক্ষমতার উৎস বাংলাদেশের জনগণ। কচুপাতার ওপর শিশির বিন্দু আওয়ামী লীগ নয় যে, একটু টোকা লাগলেই পড়ে যাবে। একটু ধাক্কা লাগলে সরে যাওয়ার পাত্র নয় আওয়ামী লীগ। আন্দোলন করবেন... ২৮ অক্টোবরের মতো পালিয়ে যাবেন না তো? আপনাদের আন্দোলন তো ভুয়া। বিএনপির আন্দোলন ভুয়া। তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন, বিএনপি নেতৃত্ব, বিএনপির এক দফা ভুয়া। যে আন্দোলনে জোয়ার হয় না, সেই আন্দোলন কোনো আন্দোলন নয়। আজকে আন্দোলনের নামে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, খুনের রাজনীতি শুরু করেছে। আমরা রাজপথে আছি জবাব, দিতে প্রস্তুত। ব্যক্তি অপরাধ করলে দুদক স্বাধীন, বিচার বিভাগ স্বাধীন, বিচার করার সৎ সাহস আছে শেখ হাসিনার। আজকে যে চক্রান্ত চলছে এটা আওয়ামী লীগকে হটানোর জন্য কিনা, এটা ভেবে দেখতে হবে।

নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুলরা গুজব ছড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে গুজব ছড়াচ্ছে। পুলিশের ওপর আক্রমণ করছে। সেনাবাহিনীর প্রতিও তাদের সেই মতলব আছে। গুজব ছড়িয়ে আওয়ামী লীগকে দুর্নীতিবাজ দল বানানোর চক্রান্ত চলছে। সাবধানে থাকবেন, সতর্ক থাকবেন। আওয়ামী লীগ-বিরোধী অপপ্রচারে গণমাধ্যমও জড়িত। কিছু কিছু মিডিয়া সেই অপপ্রচারে নেমেছে। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তি নিয়ে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আছে। আওয়ামী লীগ মাথা নত করার দল নয়। আনন্দ র‌্যালিতে যোগ দিতে বেলা আড়াইটা থেকেই ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে জড়ো হতে থাকেন। ইনস্টিটিউশনের সামনে ট্রাকের ওপর বানানো হয় মঞ্চ। কেন্দ্রীয় নেতারা সেখানে বক্তৃতা দেন। মিছিলে দেখা যায়, সুবিশাল জাতীয় পতাকা ঘিরে নেতা-কর্মীরা হাঁটছেন। তাদের পেছনে আওয়ামী লীগের দলীয় পতাকা নিয়ে আরেক দল নেতা-কর্মী। মাথায় লাল-সবুজ রঙের টুপি। ঢাক-ঢোল, ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে তারা আনন্দ-উল্লাস করেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা ঘোড়ার গাড়ি সাজিয়ে ও পিকআপ ভ্যানে ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়ে মিছিল নিয়ে আসছেন। হাতি নিয়েও শোভাযাত্রায় অংশ নেন তারা। তাদের হাতে ছিল জাতীয় ও দলীয় পতাকা। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়ন প্রকল্পের আদলে বানানো প্ল্যাকার্ড ছিল মিছিলে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।