এমপি আনার হত্যা

খুনিদের বিপুল টাকার ‘টোপ’ ফেলে আনা হয়

প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া একদল পেশাদার সন্ত্রাসী সম্পর্কে তদন্ত করতে গিয়ে বেশ কিছু নতুন তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। স্থানীয় গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, চরমপন্থি নেতারা কয়েক বছর ধরে এ অঞ্চলের বিভিন্ন খাত থেকে তাদের দাবি করা কমিশনের টাকা পেতেন না। সেই সুযোগ কাজে লাগান এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীরা। বিপুল অর্থের টোপ ফেলে তাদের কাছে টানেন। তারা হত্যাকাণ্ডের সামনে থাকা চরমপন্থি নেতা আমানউল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়াকে অন্তত পাঁচ কোটি টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখান। এ তথ্য জানিয়ে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, এই বিপুল অঙ্কের টাকার লোভে পড়ে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে সহযোগীদের নিয়ে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এই শীর্ষ চরমপন্থি নেতা। সূত্র জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থি দলের বেশ কয়েকজন নেতা দেশের বাইরে থেকেও এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত হন। এ ছাড়া এমপি আনারকে হত্যার পর হত্যাকারীরা বিদেশে পালিয়ে গিয়ে তাদের আশ্রয়ে থাকতে চেয়েছিলেন। তদন্তে পাওয়া তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেন, এসব চরমপন্থি সন্ত্রাসী পাঁচ বছর আগেও ঠিকাদারি, জমি দখলসহ বিভিন্ন খাত থেকে নিয়মিত চাঁদার টাকা পেতেন। হঠাৎ সেটা বন্ধ হয়ে যায়। এতে এমপি আনারের হাত ছিল। এভাবে চাঁদার টাকা ঠিকমতো না পেয়ে চরমপন্থি নেতারা এমপি আনারের প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠেন। এদিকে এমপি আনার হত্যার তদন্তে এখনো কলকাতার ওই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা মাংসের টুকরা বা খাল থেকে উদ্ধার করা হাড়ের ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়নি। প্রাথমিক পরীক্ষায় ওই হাড় ও মাংস মানুষের বলে নিশ্চিত হওয়া গেলেও কার বা কোন ব্যক্তির, এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমপি আনারের মেয়ে ডরিনের ভারতের ভিসা হলেও ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য তাকে ভারতে নেওয়ার উদ্যোগ এখনো নেওয়া হয়নি।