ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

৭৫ বছরে আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ সাম্প্রদায়িক শক্তি

বললেন ওবায়দুল কাদের
৭৫ বছরে আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ সাম্প্রদায়িক শক্তি

৭৫ বছরে আওয়ামী লীগের বড় চ্যালেঞ্জ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করা বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভার মঞ্চ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির সবচেয়ে বড় দুটি অর্জন হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা এবং দেশের সর্বোচ্চ উন্নয়ন। নির্দ্বিধায় বলতে পারি, এই দুটিই এসেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। কিন্তু সাম্প্রদায়িক শক্তি এ উন্নয়নকে বারবার বাধাগ্রস্ত করতে চায়। ৭৫ বছরের আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করা।

৭৫ বছরে আওয়ামী লীগের কোনো অপ্রাপ্তি রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অপ্রাপ্তির বিষয় সেভাবে দেখছি না। প্রাপ্তির খাতায় হিসেব করে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রাপ্তিটা রাজনৈতিক। আমাদের অসমাপ্ত কাজ বিজয়কে সুসংহত করতে পারিনি। সাম্প্রদায়িকতা বিজয়কে সুসংহত করার পথে অন্তরায় হয়ে আছে। এই সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী শক্তিকে পরাজিত করা ও পরাভূত করা আমাদের বিজয়কে সুসংহত করবে।

তিনি বলেন, এখন দলের অসমাপ্ত কাজ করা, সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী শক্তিকে পরাজিত করে অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠন এবং দলের নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়ন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনাই আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান লক্ষ্য। তার মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ চলমান উন্নয়ন প্রকল্প সুসম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে। রাজনীতি মানুষের জন্য, মানুষের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ছিল, আছে এবং থাকবে।

৭৫ বছরে দিনে দিনে আওয়ামী লীগ অজনপ্রিয় দলে পরিণত হচ্ছে বলেই বর্তমান সংসদের প্রায় ৭৮ ভাগ ব্যবসায়ী জায়গা পেয়েছে’- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি করলে কী ব্যবসা করার অধিকার থাকবে না? চাঁদা তুলে ভাত খাবে? চাঁদা তুলে পরিবার চালাবে? ব্যবসা করলে তো আপত্তি নেই। সৎ ব্যবসা করলে আপত্তি নেই। অসৎ ব্যবসায়ী ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। তিনি বলেন, আমাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। একটা কথা বলতে চাই, সুপরিকল্পিতভাবে ওয়ান-ইলেভেনে যেটা দেখেছি দেশের রাজনীতিবিদদের নিন্দিত করা, কুৎসা রটানো। এ দেশ স্বাধীন করেছে দেশের উন্নয়ন করছে রাজনীতিবিদরা। সেই রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিবাজ প্রমাণ করতে ও তাদের ব্যর্থ এটা প্রমাণ করতে কিছু লোক তৎপরতা চালাচ্ছে। আমরা সেটা বুঝি, এর বিরুদ্ধে প্রস্তুতও আছি। ওবায়দুল কাদের বলেন, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকল আয়োজন সম্পন্ন। আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রা আনন্দঘন, উৎসবমুখর হয়েছে। আগামীকাল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও স্বতঃস্ফূর্ত, সুশৃঙ্খল ও আনন্দঘন উপস্থিতি হবে এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। প্রতিষ্ঠাবির্ষিকীর অনুষ্ঠানে জাতির জন্য কী বার্তা থাকছে- জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের বার্তা নতুন কিছু না।

আমরা আমাদের পার্টির নির্বাচনি ইশতেহার দিয়েছি, সেই ইশতেহার বাস্তবায়ন। আমরা একদিক থেকে বলতে পারি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি, এটা আমাদের অঙ্গীকার। আমাদের অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান, যেমন আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো, এমআরটি লাইন ১ ও ৫, মাতারবাড়ি, পায়রা, রূপপুর এই কাজগুলো সুসম্পন্ন করতে হবে। এটাই দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য। মানুষের সঙ্গে ছিলাম, আছি ও থাকব। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, এস এম কামাল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য সম্পাদক রোকেয়া সুলতানাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত