ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ছাগলকাণ্ড

মতিউর কন্যা ইপ্সিতার ভয়েস মেসেজ ফাঁস

মতিউর কন্যা ইপ্সিতার ভয়েস মেসেজ ফাঁস

সম্প্রতি ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে ১৫ লাখ টাকার ছাগলকাণ্ড। বিষয়টি নিয়ে এতদিন চুপ থাকলেও এবার কথা বলেছেন সেই এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানকন্যা ফারজানা রহমান ইপ্সিতা।

সম্প্রতি স্বজনদের কাছে পাঠানো ইপ্সিতার একটি অডিও ক্লিপ সাংবাদিকদের হাতে এসেছে, যা সংবাদপত্রে প্রকাশের পর সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে কোনো কোনো সংবাদপত্র। ওই অডিও ক্লিপে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তার মেয়ে কানাডাপ্রবাসী ফারজানা রহমান ইপ্সিতাকে বলতে শোনা গেছে- বিশ্বাস করেন, আমার বাবারে প্রটেক্ট করার কোনো ইচ্ছাই আমার নেই। তার ওপর আমার জিদ। আল্লাহর কসম, বাবারে আমি ছারুম না। সে আমারে ধোঁকা দিছে (দিয়েছে), আমার মারে (মাকে) ধোঁকা, আমার ভাইরে ধোঁকা দিছে। আমি তারে ছারুম? জীবনেও না। তার জন্য আমার নাম নষ্ট হবে, মার নাম নষ্ট হবে, এইটা আমি হইতে দিমু না।’

ছাগলকাণ্ড ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে ইপ্সিতা ভয়েজ মেসেজে বলেন, ‘মানুষের দোষ তো নাইরে ভাই। দেশের মানুষ তো আসলেই কষ্ট করে। এই লোকটা আমার মারে এত বড় চিট করল ভাই। আমি ১ মিনিট পরপর আমার মার (মায়ের) সঙ্গে কথা বলতাছি (বলছি)। আমার মা হাউমাউ করে কান্দে (কাঁদে)। আমার ভাই কান্দে। আমার ভাই আমারে বলে, বাপ আমাদের কখনো ভালোবাসে নাইরে আপু। ভালোবাসলে সে এইভাবে চিট করত না।’ তিনি আরো বলেন, ‘মানুষের রাগ তো আমি বুঝতে পারছি। বিকজ আপনারা অনেক ভুক্তভোগী। এই...সরকার। আল্লাহ মাফ করুক, আসলেই ভুক্তভোগী। কিন্তু আমার ফ্যামেলি, আমার, আমার মা-ভাইয়ের কোনো দোষ এখানে ছিল না ভাই।’ বাবা মতিউরকে উদ্দেশ করে ইস্পিতা বলেন, ‘তার আছে অনেক। আমি জানি টাকা-পয়সাও ইলিগ্যাল না। তার ভালো ফ্যামেলি। বিয়াও করছিল ভালো ফ্যামেলির মাইয়া (মেয়ে)। তাইলে ভালো ফ্যামেলির মাইয়ারে বিয়া (বিয়ে) কইরা (করে) তুই রাখতে পারলি না। তোর এত খারাপ লাগছে, আমার মারে ছাইড়া তুই চইলা যাইতি। তুই আমাদের চিট করলি কেন। তুই তোর চাকরি বাঁচাইতে পারবি, টাকা বাঁচাইতে পারবি। কিন্তু তুই যে আমাদের ধোঁকা দিছোস, এইটা আমরা কী করুম। আমরা কই যামু (যাব), কারে মুখ দেখামু (দেখাব)।’ এদিকে ছাগলকাণ্ডের পরই তছনছ হয়ে গেছে মতিউরের সাজানো বাগান। আলোচনায় আসার পর এনবিআর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাকে। হারিয়েছেন সোনালী ব্যাংকের পরিচালকের পদও। গত মঙ্গলবার ফ্রিজ করা হয়েছে তার বিভিন্ন ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের বিও অ্যাকাউন্ট।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত