আম রপ্তানি বাড়াতে বিভিন্ন দেশের ১৩ রাষ্টদূত চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমবাগান পরিদর্শনে এসেছেন বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে অনেক রাষ্টদূত আছেন। আম রপ্তানিতে উৎসাহিত করতে তাদের নিয়ে আমবাগান পরিদর্শনে আসা হয়েছে। তাহলে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারব। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে কসবা ইউনিয়নের কেন্দবোনা এলাকায় একটি বাগান পরিদর্শনের পূর্বে এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে যেসব সুমিষ্ট ফলগুলো পাওয়া যায় তার মধ্যে আম অন্যতম। বিদেশে বর্তমানে যে পরিমাণে আম রপ্তানি হচ্ছে তা আরো বাড়াতে বিভিন্ন রাষ্টদূতদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। আমবাগান পরিদর্শন করেন- ব্রুনাই দারুস সালাম, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, স্পেন, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভুটান, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার ও লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতগণ।
এদিকে আমবাগান পরিদর্শন শেষে আম রপ্তানি ও বিপণন নিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, কৃষি উৎপাদন যেখান থেকে শেষ হয়, সেখান থেকেই বাণিজ্যের কাজ শুরু হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমকে দেশে-বিদেশে ব্র্যাডিং করার জন্য ব্রুনাইসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্টদূতরা আমের বিষয়ে খুবই আগ্রহী। বাগান ঘুরে বিভিন্ন দেশের রাষ্টদূতরা অভিজ্ঞতা নিয়ে যাবেন এবং তাদের দেশে সরকারের সঙ্গে আম রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা করবেন। গুড এগ্রিকালচার প্রাকটিসের (জিএপি) মাধ্যমে যদি আম উৎপাদন না করা হয় তাহলে বিদেশে আম রপ্তানি করা যায় না। ইতিমধ্যে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে গ্যাপ পদ্ধতিতে আম চাষাবাদ শুরু হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কৃষি ও বাণিজ্য সেই সঙ্গে পররাষ্ট্র এই তিনটি মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে আমের ব্র্যাডিংটা শুরু করেছি। প্রান্তিক পর্যায়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আসা একটা বড় অর্জন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের সাইজ ও গায়ের রঙ দেখে আমরা সবাই অভিভূত হয়েছি। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আম রপ্তানির ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন আছে। একেক দেশের নিয়ম একেক রকম। দেশের কয়েকটি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করছে বিদেশে আম রপ্তানির জন্য। ভালোভাবে কাজ করা গেলে আম রপ্তানিতে আর কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো বখতিয়ার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহা. জিয়াউর রহমান, জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন, পুলিশ সুপার ছাইদুল হাসানসহ অন্যরা।