সংসদে রেলমন্ত্রী

দুর্ঘটনা রোধে এটিএস সিস্টেম আসছে

প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রেলওয়ের টিকিট কালোবাজারি বোধসহ টিকিটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে বর্তমানে ব্যাপক চেকিং ব্যবস্থা চালু রয়েছে। শুধু চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল মিলে বিনা টিকেটের যাত্রীদের কাছ থেকে ৪ কোটি ৫৭ লাখ ১৭ হাজার ৩৮৯ জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, টিকেট কালোবাজারি রোধে বাংলাদেশ রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনসমূহে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ প্রতিরোধ করা হচ্ছে। টিকিট কালোবাজারি রোধে রেলওয়ের উভয়াঞ্চলের (পূর্ব ও পশ্চিম) বিভিন্ন ট্রেনে নিয়মিতভাবে টিকিট চেকিং করা হচ্ছে। নিয়মিত চেকিং এর বাইরেও ব্লক চেকিং ও স্পেশাল চেকিং পরিচালিত হয়। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে রেলওয়ের উভয়াঞ্চলে চেকিং কার্যক্রমের সংখ্যা ১ হাজার ৬৩৩টি, কেইস সংখ্যা ২ লাখ ৯ হাজার ৩৪৬টি এবং আদায়করা ভাড়া ও জরিমানার পরিমান ৪ কোটি ৫৭ লাখ ১৭ হাজার ৩৮৯ টাকা। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয় এর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণ প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এমপি হাবিবুর রহমানের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করছিলেন।

এমপি এম আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রেলওয়ের ১২১টি স্টেশন সিগনাল কম্পিউটার বেইজ ইন্টারলকিং সিস্টেম এ পরিচালিত হচ্ছে। দুর্ঘটনা পরিহারে যে কোন জরুরি অবস্থায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন থামানোর জন্য অটোমেটিক ট্রেন স্টপ/প্রটেকশন (এটিএস/এটিপি) প্রযুক্তি বাস্তবায়ের কাজ চলমান রয়েছে।

জিল্লুল হাকিম বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট কেনার প্রক্রিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/ জন্মনিবন্ধন ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কাউন্টার অথবা অনলাইন/মোবাইল অ্যাপ যে কোন মাধ্যম থেকে টিকিট কাটার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাই ব্যতিরেকে কোন যাত্রীই টিকিট সংগ্রহ করতে পারে না। কাউন্টার অথবা অনলাইন/মোবাইল অ্যাপ যে কোনো মাধ্যম হতে টিকিট সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সার্ভার হতে যাত্রীর এনআইডি ভেরিফিকেশন করা হয় এবং ইস্যুকৃত টিকিটের উপর সংশ্লিষ্ট যাত্রীর এনআইডি নাম্বার ও নাম মুদ্রিত থাকে। যাত্রীর ক্রয়করা টিকিট যাতে হস্তান্তর না হয় সে জন্য চলন্ত ট্রেনে টিটিইরা টিকিটের উপর মুদ্রিত যাত্রীর নাম, মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/ জন্মনিবন্ধ- এর সাথে যাত্রীর নিকট থাকা পরিচয়পত্র/জন্মনিবন্ধন নাম্বার ও যাত্রীর নাম মিলিয়ে দেখা হয়ে যদি টিকিটের তথ্যের সাথে যাত্রীর নিকট থাকা পরিচয়পত্র/জন্মনিবন্ধন নাম্বার ও যাত্রীর নামে গড়মিল পাওয়া যায়, তাহলে যাত্রীকে বিনা টিকিটের যাত্রী হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে ভাড়া জরিমানা আদায় করা হয়। এমপি সিদ্দিকুল আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রেলওয়েতে ৩৫৩টি ট্রেন চলাচল করছে। এর মধ্যে আন্তঃনগর ১১২টি, আন্তঃদেশীয় ছয়টি, মেইল, এক্সপ্রেস ও কমিউটার ১৩৪টি, লোকাল ৭৫টি, গুডস ও কনটেইনার ২৬টি।