জাতিসংঘ পুলিশে অবদান রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

জাতিসংঘ পুলিশের কার্যক্রমে ফলপ্রসূ অবদান রাখার বিষয়ে বাংলাদেশের অঙ্গীকার ও প্রস্তুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জাতিসংঘ পুলিশপ্রধানদের দুই দিনের চতুর্থ সম্মেলনে গত বৃহস্পতিবার এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন তিনি। ‘শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অভিনব কৌশল ও সম্ভাব্য সংঘাতের ক্ষেত্র’ শীর্ষক সম্মেলনের মূল সেশনে উদ্বোধনী বক্তা ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বর্তমান পরবর্তিত পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রাসঙ্গিক ও নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক বিশেষায়িত পুলিশিংয়ের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি। আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘শান্তিরক্ষা কার্যত্রমে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আইন ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংস্থাগুলোর দক্ষতাবৃদ্ধি করতে হবে।’ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারী পুলিশ সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়েও অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। এছাড়া, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরে এ ধরনের প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহারের বিষয়ে জোর দেন তিনি। এই সম্মেলন চলাকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদৌলে সানিয়াং, জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল ফর পিস অপারেশন্স জ্যঁ পিয়েরে লাখোয়া এবং আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল ফর অপারেশনাল সাপোর্ট অতুল খারের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তিনটি আলাদা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শন্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও সক্ষমতার বিষয়টি তুলে ধরেন। ওই বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বাড়ানো ও জাতিসংঘের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির নানা ক্ষেত্র আলোচনায় উঠে আসে। এ সময় উভয় আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের পেশাদারিত্ব ও অবদানের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ থেকে আরো শান্তিরক্ষী পাঠানোর অনুরোধ জানান। গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদৌলে সানিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু এবং শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ ও গাম্বিয়ার পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সম্মেলনে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কামরুল আহসান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।