ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কর্মস্থলে অনুপস্থিত মতিউর, হতে পারেন বরখাস্ত

কর্মস্থলে অনুপস্থিত মতিউর, হতে পারেন বরখাস্ত

চাকরি থেকে বরখাস্ত হতে পারেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য এবং ছাগলকাণ্ডে বিতর্কিত মতিউর রহমান। গত ২৩ জুন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে (আইআরডি) তাকে সংযুক্তি করা হয়। এরপর থেকে ৯ দিন অতিবাহিত হলেও কর্মস্থলে যাননি। গত সোমবার ও মঙ্গলবার সরেজমিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে গেলেও পাওয়া যায়নি এই কর্মকর্তাকে। একইসঙ্গে তিনি গত ২৩ তারিখ থেকে মন্ত্রণালয়ে আসেননি বলেও নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। জানা গেছে, মতিউর রহমান একদিনের জন্যও কর্মস্থলে আসেননি। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সংযুক্তি করা হলে নিয়মিত অফিস করলেও কোনো কাজ করতে পারবেন না। তবে, নিয়মিত অফিসে এসে হাজিরা বহিতে স্বাক্ষর দিতে হয়, কিন্তু সেটিও করছেন না তিনি। ছুটি নেওয়ার বিধান থাকলেও তার এ ধরনের কোনো আবেদন আইআরডি পায়নি কর্তৃপক্ষ। আইন অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে টানা অনুপস্থিত থাকলে কিংবা বিনা অনুমতিতে বিদেশে চলে গেলে সরকারি কর্মকর্তাদের শাস্তির মুখে পড়তে হয়। যেহেতু গুঞ্জন রটেছে মতিউর রহমান বিদেশে চলে গেছেন, সেক্ষেত্রে তাকেও শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা, ২০১৯’-এ বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো সরকারি কর্মচারী নিজ কাজে অনুপস্থিত থাকতে পারবে না। এ বিধান লঙ্ঘন করলে কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর সুযোগ দিয়ে প্রতিদিনের অনুপস্থিতির জন্য এক দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কাটতে পারবে। এছাড়া, কোনো সরকারি কর্মচারী ৩০ দিনের মধ্যে এ অপরাধ (বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিতি) একাধিকবার করলে কর্তৃপক্ষ কর্মচারীর সর্বোচ্চ সাত দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কাটতে পারবে।

তবে, ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’-এ বলা হয়েছে, ৬০ দিন বা এর চেয়ে বেশি সময় বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা বা বিনা অনুমতিতে দেশ ত্যাগ এবং ৩০ দিন বা এর চেয়ে বেশি সময় বিদেশের অবস্থান করা ‘পলায়ন’ হিসেবে গণ্য হবে। ‘পলায়ন’-এর ক্ষেত্রে তিরস্কার ছাড়া যেকোনো দণ্ড দেওয়া যাবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত