ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ছাত্র-শিক্ষক আন্দোলন

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের

সর্বজনীন পেনশনের পঞ্চম স্কিম ‘প্রত্যয়’ নিয়ে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার করে আগামী বছর ‘সেবক’ নামে স্কিম চালু হলে এবং সেখানে সবার জন্য সুযোগ-সুবিধা রাখা হলে আমরা সেখানে যাব। দেশের স্বার্থে সবার জন্য যা হবে, আমাদের জন্যও তা হবে। তাতে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু প্রত্যয় স্কিম বাতিল করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবি আবারো তুলে ধরেন তিনি। দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গত সোমবার থেকে আন্দোলন চলার মধ্যে ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যয় এর শুভযাত্রা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ের স্পষ্টীকরণ’ শীর্ষক বার্তা পাঠানো হয় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ থেকে। ওই বার্তায় বলা হয়, গত ৩০ জুনের আগে চাকরিতে যোগদানকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন স্কিমে যুক্ত হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।

অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, তারা এতদিন কোথায় ছিলেন? আমরা এতদিন বিবৃতি- স্মারকলিপি দিয়েছি, সংবাদ সম্মেলন করেছি। সাড়ে তিন মাস আগে যদি আমরা জানতাম বয়সসীমা ঠিকই আছে, তাহলে শিক্ষকরা এত ক্ষুব্ধ হত না। এখন আন্দোলন স্তিমিত করার জন্য একটা একটা ব্যবস্থা করেছে। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের আমরা বিশ্বাস করি না। ২০১৫ সালে যেভাবে তারা আমাদের রাস্তায় নামিয়েছে। সুপার গ্রেড আমাদের দেয়নি। সেসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, একটি কমিটিও হয়েছে। তবে ৮ বছরেও আমরা সুপার গ্রেড পাইনি। তখনও আশ্বাস দিয়েছে। সুতরাং আশ্বাস দিলে হবে না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নিয়ে বসতে হবে। আমাদের সুপার গ্রেড দিতেই হবে। আপনারা আগামী বছর সেবক আনবেন, সেবকে কী সুযোগ-সুবিধা আছে, সেটা আমরা দেখব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত