ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দেশের সব বিভাগ এখন ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত

দেশের সব বিভাগ এখন ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত

বর্তমান সরকার এ পর্যন্ত সর্বমোট ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৭টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করেছে। তাতে উপকারভোগী মোট মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ লাখ ৩৯ হাজারেরও বেশি। এই দুঃখী দরিদ্র মানুষগুলো জীবনে প্রথমবারের মতো গৃহের মালিকানা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তোর পর্বে এমপি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এসম স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৫৮টি জেলা এবং ৪৬৪টি উপজেলা সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হয়েছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহী এ ৫টি বিভাগ এখন সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত। অর্থাৎ এসব জেলা, উপজেলা ও বিভাগে কোনো ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষ নেই। এছাড়া ব্যারাক হাউসের মাধ্যমে ১৯৯৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমরা মোট ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৮টি পরিবারকে পুনর্বাসন করেছি। ব্যারাক হাউসেও কিন্তু আমরা পরিবারপ্রতি কবুলিয়ত সম্পাদন করে দিয়েছি অর্থাৎ সেখানেও মানুষে মালিকানা তৈরি হয়েছে।

এমপি হাবিবুর রহমানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০৪১ সালের মধ্যে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এমপি রনজিত চন্দ্র সরকারের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওড় এলাকার উন্নয়নের জন্য ৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০ বছর মেয়াদি একটি হাওড় মহাপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।

এমপি আফজাল হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩২ লাখ প্রতিবন্ধীকে ভাতা দেওয়র প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতে ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সিলেট-৩ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাইড্রোজেন ও অ্যামেনিয়া থেকে বিদ্যুত উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার সম্ভব হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেট্রোবাংলার অধীন রূপান্তরিত গ্যাস কোম্পানি লি. (আরপিজিসিএল)-এ জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন উৎপাদনে টেকসই ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতির ওপর উন্নত বিশ্বের চলমান অধিকতর গবেষণাসমূহের ফলাফল এবং গৃহীত কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের লক্ষ্যে একটি সেলগঠন করা হয়েছে। ওই সেল গ্রহণযোগ্য তথ্যাদি প্রাপ্তির পর একটি প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়ন করবে। আশা করা যায়, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার সম্ভব হবে।

আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান বলেন, ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার জন্য সমতারভিত্তিতে সুবিচার নিশ্চিত করা এবং বিচারব্যবস্থায় দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধন করে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর। বর্তমান সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবে সঠিক বিচারের নিশ্চিয়তা প্রদান করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত