ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি

প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ৬ টাকা

গতকাল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, জুরাইন, শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে প্রতিবেদনটি করেছেন মো. সাইফ আহমেদ সনি
প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ৬ টাকা

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। নিজস্ব গুদামে মজুত বাড়িয়ে চালবাজিতে মেতে উঠেছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। এরইমধ্যে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে; যা কেজি প্রতি দাড়ায় ২ থেকে ৬ টাকা। রাজধানীর বাজারগুলোতে এক সপ্তাহ আগেও এক কেজি মোটা পাইজাম চাল বিক্রি হয়েছে ৪৮ টাকায়। কিন্তু এখন ওই চালই বিক্রি হচ্ছে ৫৩-৫৪ টাকায়। যে মিনিকেট চাল বিক্রি হয় ৬৮-৭০ টাকায়, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭২-৭৫ টাকায়।

কেজিতে ৮-১০ টাকা বেড়েছে নাজিরশাইলের দাম। বর্তমানে প্রতিকেজি নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। কল্যাণপুরে খুচরা বিক্রেতা আকবর বলেন, আমাদের হাতে কিছু নেই। চালের দাম প্রতি সপ্তাহেই কমবেশি বাড়ছে। তাই আমাদেরও বেশি দামেই চাল বিক্রি করতে হয়। সব ধরনের চালের দামই বেড়েছে। আড়তদাররা দাবি করছেন, চালের দাম বাড়িয়েছে মিলাররা। গুদামে মজুত করে অল্প অল্প করে বাজারে ছাড়ছে তারা। সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চালের বস্তার দাম ৫০ টাকা বাড়িয়েছে।

আর চিকন চালে ৫০ কেজির প্রতি বস্তার দাম ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে সূচনা রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মো. সাইফুজ্জামান সলু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মিলারদের বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে চাল। তাই স্বাভাবিকভাবে উৎপাদন খরচ বেড়ে এর প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। আর এখন সব বস্তায় মূল্য উল্লেখ করা থাকে। তাই কারচুপির কোনো জায়গা নেই। সরকার প্রয়োজনে মিলারদের মিলে যাচাই-বাছাই করে দেখুক, এখানে খরচ কেমন হয়, আর কী পরিমাণ লাভ হয়। দাম কেন বাড়ছে, তা জানতে মিলগুলোতে ঘুরলেই বুঝতে পারবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত