ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চীনা ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশে বিনিয়োগ এখনই উপযুক্ত সময়

বাংলাদেশে বিনিয়োগ এখনই উপযুক্ত সময়

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে গিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভূরাজনীতি, অর্থনীতি, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সম্পর্কের উত্তরণের ইস্যু নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আজ চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে গতকাল বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস, বিআইডিএ, বিএসইসি এবং সিসিপিআইটি চায়না ওয়ার্ল্ড সামিট উইং, শাংরি-লা সার্কেল, বেইজিং সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনা ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে পারস্পরিক স্বার্থে বিশ্বের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থার সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশের প্রধান খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

বেইজিংয়ে ‘বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা এবং বিনিয়োগের সুযোগ’ শীর্ষক এক শীর্ষ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে শেখ হাসিনা বলেন, এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগের সময় এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের হাতে হাত মিলিয়ে একসাথে আমরা দুর্দান্ত কিছু অর্জন করতে পারি।

প্রধানমন্ত্রী চীনা ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের মূল খাতগুলো বিবেচনা করার জন্য উৎসাহিত করে বলেন, আমরা আমাদের অবকাঠামো, জ্বালানি এবং লজিস্টিক খাতে বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই।

চীনে তার চার দিনের দ্বিপাক্ষিক সফরের দ্বিতীয় দিনে সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি বাংলাদেশের সম্ভাব্য খাত আইসিটি, পর্যটন, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এবং উন্নয়ন খাতে বৃহত্তর পরিমাণে বিনিয়োগ করার জন্য চীনা উদ্যোক্তাদের এবং বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি চীনা বিনিয়োগের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ জ্বালানি খাতে।

তিনি আরো বলেন, জলবায়ু-সহনশীল স্মার্ট ফার্মিং চীনের সাথে ক্রয়-ব্যাক ব্যবস্থাসহ কৃষি-প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে সহযোগিতার সুযোগ উন্মুক্ত করে। শেখ হাসিনা বলেন, তারা তিনটি বিশেষ পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছে যেখানে চীন রিয়েল এস্টেট এবং আতিথেয়তা খাতে বিনিয়োগ করতে পারে।

তিনি আরো বলেন, আমি চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে পোর্টফোলিও বিনিয়োগ অন্বেষণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে পুঁজিবাজারের আরো উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা একটি শক্তিশালী বন্ড বাজার বিকাশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছি। আমরা ডেরিভেটিভ পণ্য প্রবর্তনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি, যা আমাদের আর্থিক বাজারকে আরো বৈচিত্র্য ও প্রসারিত করবে।

বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগকে উন্মুক্ত বাহুতে আলিঙ্গন করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সক্রিয়ভাবে আইসিটি সেক্টরের প্রবৃদ্ধি জোরদার করছে, স্টার্টআপদের জন্য প্রণোদনা দিচ্ছে, টেক পার্কে বিনিয়োগ করছে এবং উদ্ভাবনা ও উদ্যোক্তাকে উৎসাহিত করে এমন একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলছে। আমাদের তরুণ উদ্যোক্তারা বিশ্ব মঞ্চে তাদের অবস্থান তৈরি করছে এবং আমরা আপনাদের এই আকর্ষণীয় যাত্রার শরিক হওয়া এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সবুজ প্রযুক্তিতে অসংখ্য সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।

শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ ও চীনের বেশ কয়েকটি কোম্পানির মধ্যে ১৬টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) বিনিময় হয়েছে। চীনের ভাইস মিনিস্টার অব কমার্স লি ফেই, চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওয়াং টংঝু, এইচএসবিসি চায়নার প্রেসিডেন্ট ও সিইও মার্ক ওয়াং, হুয়াওয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইমন লিন, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল ইসলাম। বাংলাদেশ ও চীনের কয়েকশ’ ব্যবসায়ী নেতা, বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তা এই সম্মেলনে যোগ দেন।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের যুক্তি ব্যাখ্যা করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পথের সাথে সরাসরি সংযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা দক্ষিণ এশীয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এবং পূর্ব এশীয় প্রবৃদ্ধি সার্কিটের সংযোগস্থলে রয়েছি। আমাদের সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর এবং স্থল পথগুলোকে আন্তর্জাতিক মান পূরণের জন্য ক্রমাগত উন্নীত, দক্ষ এবং নির্বিঘ্ন লজিস্টিক নিশ্চিত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার এবং এর সংলগ্ন বাজারসমূহে সমগ্র অঞ্চলের জন্য অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিনিয়োগকারী হিসেবে আপনি দেখতে পারেন যে, বাংলাদেশ আপনার ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে লাভজনক করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থা প্রদান করছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এক ছাদের নিচে অনেকগুলো সেবা প্রদান করে থাকে।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, বাংলাদেশ ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এস্ইজেডএস) প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রতিটি অঞ্চল অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সজ্জিত। প্রধান অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে বাংলাদেশ সুনির্দিষ্ট পাঁচটি দেশের জন্যে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। সরকার আরও ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি নিরাপদ ও পূর্বাভাসযোগ্য পরিবেশ দেয়ার জন্যে একাধিক সংস্কার কাজ শুরু করেছে। তার সরকার ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে মসৃণ ও দক্ষ করে তুলতে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন, সরলীকৃত পদক্ষেপ ও পদ্ধতি তৈরি, স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং উন্নত অবকাঠামো তৈরি করেছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে স্থান করে দেওয়া।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ তাই বিশ্বমানের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক, সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব লজিস্টিক সিস্টেম নির্মাণের মধ্যদিয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য একটি প্রথম লজিস্টিক নীতি প্রণয়ন করেছে।

শেখ হাসিনা তার মতামতে বলেন, নীতিমালায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সড়কপথ, রেলপথ এবং সমুদ্রবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তারা এই অঞ্চলে এবং এর বাইরে সংযোগসহ বাংলাদেশকে একটি প্রাণবন্ত লজিস্টিক কেন্দ্রে পরিণত করতে ডিজিটাল এবং ভৌত অবকাঠামো উভয় ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য প্রদর্শনের জন্য আমরা পদ্মা বহুমুখী সেতু, কর্ণফুলী নদী টানেল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারিত তৃতীয় টার্মিনাল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ঢাকা মেট্রোরেল ব্যবস্থার মতো মেগা-প্রকল্পগুলো এগিয়ে নিয়েছি এবং সম্পন্ন করেছি। দেশব্যাপী বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সরবরাহের অর্জনও আমাদের রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রথম যোগাযোগ স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে নতুন প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে প্রতিযোগীতামূলক মজুরিতে ব্যাপক দক্ষ শ্রমিক রয়েছে। এছাড়া তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম নিবন্ধিত আইটি ফ্রিল্যান্সার গোষ্ঠী রয়েছে। দূরবর্তী এলাকায় পৌঁছানোর জন্য আমাদের টেলিকমিউনিকেশন অবকাঠামো উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছি। পর্যায়ক্রমে ৩৮টি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করছে এবং কিছু প্রতিশ্রুতিশীল খাতে বিদেশী বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা আমাদের ভিশন। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হল এর তরুণ ও গতিশীল কর্মীবাহিনী। প্রায় ২৭ বছরের গড় বয়সি বাংলাদেশের জনসংখ্যার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য শক্তি, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা এবং দৃঢ় কর্ম নীতি দ্বারা চিহ্নিত।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং উচ্চ শিক্ষার উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের কর্মশক্তির সক্ষমতা বাড়াতে ক্রমাগত কাজ করছি। আমাদের যুবকরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এইভাবে, বাংলাদেশে বিনিয়োগের অর্থ হল দক্ষ ও আধা-দক্ষ শ্রমিকের বিশাল অংশকে পাওয়া যা উভয়েই সাশ্রয়ী ও সক্ষমতাপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীন আমাদের সবচেয়ে বড় অংশীদার। দেশটির সাথে বছর বছর আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ছে। তবে দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত করার অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, আমরা বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলা করতে এবং আরো ন্যায়সঙ্গত বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ টেক্সটাইল, গার্মেন্টস, চামড়াজাত, পাটজাত ও কৃষিজাত পণ্যসহ চীনে আরো পণ্য রপ্তানি করতে আগ্রহী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের রপ্তানিমুখী শিল্পে চীনা বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই, যা আমাদের রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সাহায্য করবে। ব্যবসায়িক সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ চীনা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ গঠনে উৎসাহিত করছে।

এই সহযোগিতা উভয় পক্ষের জন্য প্রযুক্তি স্থানান্তর, দক্ষতা উন্নয়ন এবং বাজারে প্রবেশকে সহজতর করবে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। আমরা দক্ষ কর্মশক্তি এবং একাডেমিক দক্ষতা ব্যবহার করে চীনা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপনের আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে গত রোববার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই সফরকালে অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাতে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল অর্থনীতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি ও দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের বিষয়ে সমঝোতা স্মারকগুলো সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’ হাছান মাহমুদ আরো বলেন, সফরকালে দুই দেশের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনেরও ঘোষণা করা হবে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৬ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। সে সময় উভয় দেশ কৌশলগত অংশীদারিত্বে পৌঁছেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বেইজিং সফর করেছিলেন। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সময়ে চীন সফর করেছেন। দুই দেশ আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে।

উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধুর চীন সফর এবং পরে ১৯৭৫ সালের বাংলাদেশকে চীন স্বীকৃতি দেয়। এছাড়াও বাংলাদেশের উন্নয়নে অংশীদার হিসেবে কাজ করছে চীন। এর ধারাবাহিকতায় দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে উন্নয়নের পথে অগ্রসরমান আছে। ২০১৬ সালে শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ‘কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদারত্বে’ উন্নীত হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত