ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাংলা ব্লকেডে দেশজুড়ে জনদুর্ভোগ

দাবিতে অনড় শিক্ষার্থীরা

আজ ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ
দাবিতে অনড় শিক্ষার্থীরা

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর শাহবাগ, সায়েন্সল্যাবসহ বেশি পয়েন্টে অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন তারা। এছাড়া সারা দেশে সড়ক-মহাসড়ককে একই কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির কারণে গতকাল স্থবির হয়ে পড়ে রাজধানী ঢাকা। মোড়ে মোড়ে শিক্ষার্থীরা অবরোধ করায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। ছিল না পর্যাপ্ত বাস। কিছু সড়কে ছিল তীব্র যানজট। এতে অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবার যানবাহন ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সরেজমিন দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন। পরে সেখান থেকে মিছিল ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টিএসসির মোড়ে বসে পড়েন শিক্ষার্থীরা। বিকভল ৫টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশের সাঁজোয়া যানে উঠে পড়েন ছাত্ররা। সাঁজোয়া যান ঘিরেই বিক্ষোভ করেন তারা। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেছেন, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় কিছু শিক্ষার্থীকে পুলিশের সাঁজোয়া যানের ওপর উঠে উল্লাস করতেও দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের এমন আচরণের পরও পুলিশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, কোটা নিয়ে আদালতের নির্দেশনার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অবকাশ ছিল না। তাই তাদের রাস্তায় না নামতে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তারা নেমে পড়লেন। তারপরেও পুলিশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। আশা করি আজকেই (গতকাল) এটা (আন্দোলন) শেষ হবে। পুলিশ চায় না শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিছু হোক। তাদেরও বোঝা উচিত। তাদেরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। আন্দোলনকারীদের ভাষ্য, একদফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরবেন না। কোটা থাকলেও সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ থাকতে পারে, এর বেশি নয়। এ বিষয়ে আদালত নয়, তারা নির্বাহী বিভাগ ও সংসদ থেকে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করতে যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে বাধা ঠেলে তারা মহাসড়কের কুমিল্লার কোটবাড়ী এলাকা অবরোধ করেন। মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আধা ঘণ্টা ধরে চলা পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন শিক্ষার্থীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। এতে পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। শিক্ষার্থীদের অবরোধের মুখে পিছু হটে পুলিশ। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।

ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, কোটবাড়ীতে অবরোধস্থল থেকে মহাসড়কের দুই পাশে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহন লাগে। হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতায় যানজট দূর হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অন্তু বলেন, পুলিশের লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেলের আঘাতে সাংবাদিক, শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মিনহাজ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা কোটবাড়ীর দিকে রওনা দেওয়ার পরপরই পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। তারপর শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে কোটবাড়ী বিশ্বরোডে এসে অবরোধ শুরু করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত