নির্বাচনি সমাবেশে গুলি রক্তাক্ত ট্রাম্প

প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে জমে উঠেছে মার্কিন অঙ্গন। ভোটের লড়াইয়ের আগেই প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে চলছে তর্ক-বিতর্ক। দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনি মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। তবে প্রচার-প্রচারণার মধ্যেই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনি সভায় বন্দুক হামলা চালানো হয়েছে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বন্দুকের টার্গেট এদিক-সেদিক হলেই রিপাবলিকান এই নেতার মৃত্যু হতে পারতো। ট্রাম্প বেঁচে গেলেও প্রাণ হারিয়েছেন তার এক সমর্থক, গুরুত্বর আহত হয়েছেন দুজন।

আগামী নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রিপাবলিকান এ প্রার্থীর ওপর নির্বাচনি প্রচারণার সময় এমন হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। হামলার ঘটনায় কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট প্রার্থী ও বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার দল ডেমোক্রেটিক পার্টিকে দুষছেন রিপাবলিকান পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতারা। রিপাবলিকান সিনেটর জেডি ভান্সকে ট্রাম্পের রানিংমেট বা পরবর্তী ট্রাম্প প্রশাসনে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ভাবা হচ্ছে। তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘হত্যার চেষ্টা’ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রচার শিবিরের ‘বাড়াবাড়ির’ ফল।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা ও সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার এলাকায় সমাবেশস্থলের কাছে একটি একতলা ভবনের ছাদ থেকে মঞ্চ লক্ষ্য করে পরপর কয়েকটি গুলি করা হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারের মঞ্চে বক্তব্য শুরু করেন। হঠাৎই গুলির শব্দ। মঞ্চে বসে পড়েন ট্রাম্প। নিরাপত্তাকর্মীরা ঘিরে ধরেন তাকে। শুরু হয় হইচই, হট্টগোল। পরে ট্রাম্প উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। দেখা যায়, ডান কান থেকে রক্ত ঝরছে তার। মুখমণ্ডলেও রক্ত। তখন ট্রাম্প মুষ্টিবদ্ধ হাত উপরে তুলে বলে ওঠেন, ‘ফাইট, ফাইট, ফাইট’। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি, আল-জাজিরা ও রয়টার্স থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় এক সমাবেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমাদের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। রাজনীতিতে আমরা কোনো সহিংসতা চাই না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে সহিংসতা ছিল না। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর যে হামলা হয়েছে, সেটিতে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা এর নিন্দা জানাই। রাজনীতিতে সহিংসতার কোনো স্থান থাকা উচিত নয় বলে আমরা মনে করি।

পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার এলাকায় স্থানীয় সময় গত শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এই হামলায় দর্শক সারিতে থাকা একজন নিহত ও আরো দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের গুলিতে নিহত হন সন্দেহভাজন হামলাকারীও। চিকিৎসার পর ট্রাম্প ভালো আছেন। তবে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাস চারেক আগে ট্রাম্পের ওপর কেন হামলা হলো, সেটা এখনো জানা যায়নি। জানানো হয়নি সন্দেহভাজন হামলাকারীর পরিচয়। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে।

হামলার পরপরই ৭৮ বছর বয়সি ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট দেন। তাতে নিজেই জানান, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে আমাদের দেশে এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন!’

নির্বাচনি প্রচার মঞ্চ ঘিরে ধরেই সেখান থেকে ট্রাম্পকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা। পরে পাশেই একটি গাড়িতে নিয়ে তোলা হয় ট্রাম্পকে। সেখান থেকে নেওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। যুক্তরাষ্ট্রের বড় শহরগুলো থেকে অলি-গলি পর্যন্ত নির্বাচনি ডামাডোল শুরু হয়েছে। রিপাবলিকানদের নির্বাচনি সমাবেশে হামলার এই ঘটনার জন্য প্রাথমিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করছেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও সমর্থকরা। হামলার জন্য সিক্রেট সার্ভিসের দায়িত্বে অবহেলা এবং বাইডেন শিবিরের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছেন তারা।

গত মাসে প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়েছিলেন জো বাইডেন। ট্রাম্পের ঝাঁঝালো আক্রমণের মুখে তাকে এতটাই অসহায় ও বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল যে, পরে বাইডেনের প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। ডেমোক্রেট শিবির থেকে জোরালো দাবি উঠে, তাকে সরিয়ে অন্য কাউকে প্রার্থী করা হোক। অবশ্য এর আগে থেকেই প্রায় সব জরিপ বলছিল, নির্বাচনে ট্রাম্পের জেতার সম্ভাবনা বেশি। জনসমর্থনের দিক থেকে বাইডেনের চেয়ে অন্তত চার পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন এ রিপাবলিকান নেতা। হামলার পর ট্রাম্পের জেতার সম্ভাবনা আরো অনেক বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিশ্বনেতারা যা বললেন : সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়েই নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ এক কূটনীতিক বলেন, আরো একবার আমরা রাজনৈতিক কোনো প্রতিনিধির ওপর এ ধরনের সহিংসতার সাক্ষী হলাম। এ ধরনের হামলা গ্রহণযোগ্য নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার গত রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, নির্বাচনি প্রচারণায় এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখে তিনি হতবাক হয়ে গেছেন। তিনি বলেন, আমাদের সমাজে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। হামলার ঘটনাকে অন্ধকারচ্ছন্ন সময় উল্লেখ করে ট্রাম্পের জন্য সমবেদনা এবং তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছেন হাঙ্গেরির জাতীয়তাবাদী নেতা ভিক্টর অরবান।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেছেন, তিনি পেনসিলভানিয়া কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সর্বশেষ তথ্য জেনেছেন এবং তিনি ট্রাম্পের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় হতবাক হয়ে গেছেন। তিনি ট্রাম্পের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই ধরনের সহিংসতার কোনো যৌক্তিকতা নেই। পৃথিবীর কোথাও এগুলোর কোনো স্থান নেই এবং সহিংসতা কখনোই প্রাধান্য পাবে না।

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই এই ধরনের হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ‘আন্তর্জাতিক বাম’দের দায়ী করে বলেন, নির্বাচনে পরাজয়ের আতঙ্কে তারা তাদের পশ্চাৎপদ ও স্বৈরাচারী এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য সন্ত্রাসের আশ্রয় নেয়। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা বলেছেন, গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক সংলাপের সব রক্ষকদের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানানো উচিত। কোস্টা রিকার সরকারও এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, তার বন্ধুর ওপর এ ধরনের হামলায় তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, রাজনীতি এবং গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এ ধরনের রাজনৈতিক হামলার বিরোধিতা করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। গণতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ করে এমন যে কোনো সহিংসতার বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে। হামলার ঘটনায় হতাহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে। তিনি বলেন, আমাদের গণতন্ত্রে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতাই গ্রহণযোগ্য নয়।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণায় ভয়াবহ ওই ঘটনা দেখে হতবাক হয়েছেন। তবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিরাপদ থাকায় তিনি স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর এফবিআইয়ে কর্মকর্তা কেভিন রোজেক বলেছেন, আমাদের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যা হয়েছে তাকে আমরা হত্যা চেষ্টা বলছি। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক স্পেকট্রামজুড়ে সকল রাজনীতিবিদ একত্রিত হয়ে বলছেন, গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। যদিও এসব রাজনীতিবিদ খুব কম সময়ই একে অন্যের সঙ্গে একমত হতে পারেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জর্জ ডব্লিউ বুশ, বিল ক্লিনটন এবং জিমি কার্টার সকলেই এই সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, হামলায় ট্রাম্প গুরুতরভাবে আহত হননি, এতেই তারা বড় স্বস্তি পেয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলাকারীর নাম প্রকাশ করেছে। অভিযুক্ত ওই হামলাকারীর নাম থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি করার এ ঘটনাকে এফবিআই ‘হত্যা চেষ্টা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। অন্যদিকে হামলার ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত ওই হামলাকারী মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছেন।

সময়ের সাথে সাথে আরো তথ্য সামনে আসছে এবং ট্রাম্পকে আক্রমণকারী থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস একজন নিবন্ধিত রিপাবলিকান ছিলেন বলেও জানা যাচ্ছে। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টাকারী বন্দুকধারীকে ২০ বছর বয়সি থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস হিসাবে চিহ্নিত করেছে এফবিআই। মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস এক বিবৃতিতে বলেছে, এজেন্টদের গুলিতে নিহত হওয়ার আগে বন্দুকধারী ‘সমাবেশের বাইরে একটি উঁচু অবস্থান থেকে মঞ্চের দিকে একাধিক গুলিবর্ষণ করে’। সঙ্গে সঙ্গে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট নিচে লুটিয়ে পড়ে নিজেকে আড়াল করেন। এ সময় সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা তার পাশেই ছিলেন। এরপর তাকে স্টেজ থেকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ট্রাম্পকে যখন ধরে স্টেজ থেকে নামানো হচ্ছে, সেই সময়ই কানের পাশ, গালে রক্ত লক্ষ্য করা যায়। স্টেজ থেকে নামার সময় হাত উঁচিয়ে, মুঠো করে হার না মানার ইঙ্গিত করে দেখান ট্রাম্প।

যেসব মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওপর হামলা হয় : যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনি প্রচারে হামলার ঘটনা আগেও অনেকবার হয়েছে। এর আগে চার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও এক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। এছাড়া সাতজন হত্যাচেষ্টার শিকার হন। যারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তাদের মধ্যে রয়েছেন, আব্রাহাম লিঙ্কন (১৮৬৫), জেমস গারফিল্ড (১৮৮১), উইলিয়াম ম্যাককিনলে (১৯০১), জনএফ কেনেডি (১৯৬৫), রাষ্ট্রপতি প্রার্থী রবার্ট এফ কেনেডি (১৯৬৮)। অন্যদিকে ১৯৭৫ সালে দুবার হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড। ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর জর্জ ওয়ালেস। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনিও হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন। সেই হামলায় তিনি প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছিলেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট ১৯৩৩ সালে হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন। তখন তিনি কোনোরকম রক্ষা পান। তবে শিকাগোর মেয়র আন্তন সেরমাক গুলিতে মারা যান। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টও হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন। ১৯১২ সালে নির্বাচনি প্রচারণায় তাকে গুলি করা হয়। এক সেলুনের কর্মী তাকে লক্ষ্য করে গুলি করেন।