জাপার পরিচয় দিয়েও অনেকে এরশাদকে মুছে ফেলতে চায়

বললেন রওশন এরশাদ

প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নেতাকর্মীদের ভালোবাসতেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান এবং তার সহধর্মিণী রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, অথচ এখন অনেকে আছেন, যারা জাতীয় পার্টির পরিচয় দিয়েও এরশাদকে মুছে ফেলতে চাইছেন। বিগত সংসদ নির্বাচনে তারা পল্লীবন্ধুর নাম মুখে নেয়নি। নির্বাচনি ইশতেহারে পল্লীবন্ধুর ছবিটা পর্যন্ত রাখেনি। গতকাল বিকালে কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি। এরশাদকে যারা ভালোবাসে তারা তা মানতে পারেনি উল্লেখ করে রওশন বলেন, তাই যেখানে এককভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েও জাতীয় পার্টি ১৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। সেখানে বিগত নির্বাচনে পেয়েছে মাত্র ৩ শতাংশ। সেটাও জাতীয় পার্টির একক ভোট নয়, ছিল সমঝোতার ভোট। আমরা এরশাদের গড়া জাতীয় পার্টিকে শেষ হয়ে যেতে দিতে পারি না বলে মন্তব্য করে রওশন বলেন, পার্টির মধ্যে কোনো দ্বিধা-বিভক্তি হতে দেব না। তাহলে পল্লীবন্ধুর আত্মা কষ্ট পাবে। যারা পল্লীবন্ধুকে ভালোবাসে, তাদের মধ্যে কোনো বিভক্তি নেই। আমরা এক আছি এবং ঐক্যবদ্ধ থাকব।

ছাত্র-শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গ টেনে রওশন এরশাদ বলেন, দেশে এখনো নানাবিধ সমস্যা বিরাজ করছে। শিক্ষকরা আন্দোলন করছে। ছাত্ররা কোটা সংস্কার আন্দোলন করছে। বেকার সমস্যা বেড়েই চলছে। জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। অন্যদিকে দেশে ভয়াবহ বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পল্লীবন্ধু বেঁচে থাকলে, বসে থাকতে পারতেন না। তিনি বন্যাদুর্গত মানুষের কাছে ছুটে যেতেন। রওশন বলেন, দেশের সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে সরকার আন্তরিক। কিন্তু সমাধানের পদক্ষেপগুলো যথার্থ নয়। ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলন শুরু হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গেই সরকারের উচিত ছিল আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা। সরকার সেটা এখনো করতে পারেন। স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির এই অংশের মহাসচিব কাজী মো. মামুনূর রশিদ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ জুবায়ের আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সালেহ, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক সাহিন আরা সুলতানা রিমা প্রমুখ।