ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘প্রত্যয়’ স্কিম

আন্দোলন চালানোর ঘোষণা শিক্ষকদের

আন্দোলন চালানোর ঘোষণা শিক্ষকদের

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে অবস্থান নেন শিক্ষকরা। এ নিয়ে টানা ১৫ দিন ধরে এ কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা। তবে এরমধ্যেই সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় কর্মসূচির বাস্তবায়ন এক বছর পিছিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বিষয়টিকে আন্দোলনের একধাপ অগ্রগতি দেখছেন তারা। তাদের মতে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তাদের বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। তারপরই এই বিজ্ঞপ্তি এলো, তবে যেহেতু এখনো দাবি পূরণের বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়নি, তাই তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা বলেন, আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সঙ্গে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকের আলোচনার প্রেক্ষাপটেই একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি (প্রত্যয় কর্মসূচির বাস্তবায়ন এক বছর পেছানোর সিদ্ধান্ত) এসেছে। এটি একধাপ অগ্রগতি। কিন্তু প্রজ্ঞাপনে আরো পরিষ্কার করতে হবে। সেখানে শিক্ষকদের সুস্পষ্ট দাবিতে কীভাবে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, সে জন্য আলোচনা হতে পারে। যদি দ্রুত এটি হয়ে যায় তাহলেই আন্দোলনটি সফল হবে এবং সরকার যে শিক্ষকদের প্রতি আন্তরিক, সেটাও প্রমাণিত হবে। তাদের আন্দোলন ও আলোচনা দুটিই চলবে।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে আগামী শনিবার ফেডারেশনের সভা ডাকা হয়েছে। সেখানেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার আগপর্যন্ত এখনকার মতো করে কর্মবিরতি চলবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত রোববার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সভা করেছে। সভায় কনিষ্ঠ শিক্ষকেরা দাবির বিষয়ে বেশি সোচ্চার ছিলেন। তবে শিক্ষকদের কেউ কেউ পরীক্ষা ও লাইব্রেরিকে কর্মবিরতির বাইরে রাখার পক্ষেও মত দেন। এ বিষয়ে আগামী শনিবার অনুষ্ঠেয় ফেডারেশনের সভায় সিদ্ধান্ত হবে। এর আগে গত রোববার ফেডারেশনের ভার্চ্যুয়াল সভায় ‘দাবি পূরণ না হওয়ায়’ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তবে সেই সভায় তারা আশা করেন, সরকার তাদের দাবি পূরণ করবে।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এই পেনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবিতে মিছিল করেছেন। সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে ১ জুলাই থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একযোগে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন। এ কারণে ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না। প্রশাসনিক ভবনেও কোনো কাজ হচ্ছে না। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেবা নিতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। প্রত্যয় কর্মসূচি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার ছাড়াও শিক্ষকদের অন্য দুটি দাবি হলো; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য উচ্চতর স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে (জ্যেষ্ঠ সচিবদের মতো বেতনকাঠামো) অন্তর্ভুক্ত করা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত