ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাজাকার স্লোগানে মন্ত্রিদের উষ্মা প্রকাশ

রাজাকারের চেতনা যারা ধারণ করে তারাও রাজাকার

ওবায়দুল কাদের
রাজাকারের চেতনা যারা ধারণ করে তারাও রাজাকার

রাজাকারের চেতনা যারা ধারণ করে তারাও রাজাকার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল সোমবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, গত রোববার প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত বক্তব্য আন্দোলনের নেপথ্যে নেতা, মতলববাজ, কুশীলবরা স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিকৃত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সংবাদকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, কোটা সুবিধা মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিরা পাবে না তো রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে! একথা তিনি যথার্থই বলেছেন। তিনি আরো বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তস্নাত দেশে রাজাকারের আইন হতে পারে না। দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো অপমান বাঙালি জাতি সহ্য করবে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় পরাজিত অপশক্তির কোনো রকম আস্ফালন আমরা মেনে নেবো না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা বা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী বেঁচে থাকতে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত দিয়ে পরাজিত অপশক্তির অপতৎপরতা প্রতিরোধ করা হবে। যে ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের মহান আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না, নিজেদের রাজাকার পরিচয় দিতে গৌরববোধ করে তাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করে না?

যারা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মূল প্রতিজ্ঞাকে অবজ্ঞা করে, তারা কীভাবে মেধাবী হয়, প্রশ্ন রেখে কাদের বলেন, তারা কীভাবে জাতি কিংবা ছাত্রসমাজের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের অধিকাংশই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাষ্ট্র পরিচালনা করছি। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে যে কোনো অপশক্তিকে আমরা কঠোরভাবে প্রতিরোধ করব- এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

আন্দোলনের নামে জনজীবনে কোনো রকম দুর্ভোগ মেনে নেব না মন্তব্য করে কাদের বলেন, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে কোনো সভা-সমাবেশ আমরা মেনে নিতে পারি না। এরই মধ্যে লক্ষ্য করছি, এ আন্দোলনের কুশীলব জামায়াত-বিএনপিসহ অপশক্তির স্বরূপ উম্মোচিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের অপশক্তির আস্ফালনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ধৃষ্টতা কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই ধৃষ্টতা, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এটা অডাসিটি অফ হায়েস্ট অর্ডার! প্রধানমন্ত্রীকে বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে আন্দোলনকারীরা এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, এটা চরম ধৃষ্টতা। গত রোববার রাতে ছাত্ররা নিজেদের রাজাকার বলে স্লোগান দেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্র আন্দোলনের যে বক্তব্য কতিপয় নেতা দিয়েছেন, তারা আত্মস্বীকৃত রাজাকার, যারা নিজেদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ মানসিকতার প্রকাশ ঘটিয়েছে সেটার জবাব ছাত্রলীগই দেবে। ছাত্রদের বিষয় ক্যাম্পাস পর্যন্ত সীমিত থাকবে। আমরা দেখি রাজনৈতিকভাবে কারা প্রকাশ্যে আসে। তখন দেখা যাবে। আমরাও মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত