ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে

বললেন ওবায়দুল কাদের
প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও বিচার হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যারা সহিংসতা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। আমরা বরাবরই শিক্ষার্থীদের দাবি সমর্থন করে আসছি।

আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা বলেন, ’৭১-এ যারা বেইমানি করেছে, হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা এখনো বেইমান। ’৭১-এর খুনি, ’৭৫-এর খুনি, ২১ আগস্টের খুনি, ২৪ সালেও একই খুনিরা। তারা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপানো হয়েছে। আমাদের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে। নজিরবিহীন তাণ্ডব চালিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, দেশের সাম্প্রতিক সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণ দায় বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসরদের।

একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কায়দায় তারা লুটপাট ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। এখন এ দায় থেকে মুক্তি পেতে তারা আন্তর্জাতিক তদন্ত চাইছে। সরকার হটাতে দেশি-বিদেশি কুচক্রী মহল এখনো সক্রিয় অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলদের থলের বিড়াল বের হতে শুরু করেছে। এখন আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করছে। তারা দেশ এবং দেশের মানুষের উপর আস্থা করে না। এবারও সন্ত্রাসী চরিত্র উন্মোচিত হওয়ায় এ দায় থেকে মুক্তি পেতে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ চাইছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু কামনা করি না। প্রতিটি হত্যার বিচার হবে। যারা সহিংসতায় জড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা দেশের মানুষ মেনে নেবে না। অচিরেই দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তিনি বলেন, এখনো যারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে যাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য দেশকে ধ্বংস করা, দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া। বিএনপি-জামায়াত বাম উগ্র গোষ্ঠী, দেশি-বিদেশি কুচক্রী মহল এখনো সক্রিয় আছে। বিএনপির জামাতের সশস্ত্র ক্যাডাররা আবারও হামলা চালানোর চেষ্টা করতে পারে। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান- যেখানেই আক্রমণকারী দেখবেন, সে খবর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে সহযোগিতা করবেন। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহিংসতাকারীদের ধ্বংসাত্মক কাজ জাতির সামনে উপস্থাপন করে সত্য প্রকাশ করুন। আওয়ামী লীগকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপক্ষ নেওয়ার চেষ্টা সফল হবে না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, ইকবাল হোসেন অপু, আনিসুল হক প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত