ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

২৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৫৬ কোটি ডলার

২৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৫৬ কোটি ডলার

চলতি জুলাই মাসের প্রথম ২৭ দিনে (১ থেকে ২৭ জুলাই) দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৬ কোটি ৭৪ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুলাই মাসের প্রথম ২৭ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ১২৪ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২২ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৮ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম ২৭ দিনে একক ব্যাংক হিসেবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৪০ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা র্ব্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০ কোটি ২৯ লাখ ডলার। এরপর রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮ কোটি ৬৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে (জুন) প্রবাসীরা ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার পাঠিয়েছেন। আর চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং মে মাসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে প্রবাসীরা ১৯৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান, এ বছর যার তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। দেশে চলমান কারফিউয়ের মাঝে গত বুধবার থেকে সীমিত সময়ের জন্য ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু হয়েছে। টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর ব্যাংকিং কার্যক্রম ফের চালু হওয়ায় মাসের শেষ দিনগুলোতে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক। এ বিষয়ে তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘নস্ট্রো অ্যাকাউন্টগুলোর সঙ্গে (দেশীয় ব্যাংকগুলোর বিদেশে থাকা হিসাব) রেমিট্যান্সের হিসাব পুরোপুরি মিলছে না। তবে ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক হলে মাসের শেষের দিকে রেমিট্যান্সের পুরো হিসাব পাওয়া যাবে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলা সহিংসতার কারণে গত ১৯ থেকে ২৪ জুলাই ব্যাংকিং কার্যক্রম ব্যাহত হয়, এই সময়ের মধ্যে মাত্র এক দিন ব্যাংক খোলা ছিল। এরইমধ্যে দেশের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে ১৯ জুলাই রাত থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। আবার ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকায় অনলাইন লেনদেনও বন্ধ ছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে। মার্চে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৯ কোটি ডলার। এর আগে জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ডলার। এপ্রিলে ২০৪ কোটি ডলার এবং মে মাসে ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। এরপর জুন মাসে রেকর্ড ২৫৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে, যা গত ৪৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের রেকর্ড ছিল ২৫৯ কোটি ডলার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত