শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় আলেমদের প্রতি ধর্মমন্ত্রীর আহ্বান

প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় উলামায়ে কেরামদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। পাশাপাশি সরকারের দায়িত্বশীলরা মনে করছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আলেমণ্ডওলামা সমাজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেই আছেন, সে বিষয়ে উলামায়ে কেরামদের পক্ষ থেকে তাকে আশ্বস্ত করতে হবে। গতকাল বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডে ধর্মমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সভাকক্ষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা এসব মতপ্রকাশ করেন। তবে সেমিনারে উপস্থিত এমন দুজনকে ফোনে কথা বললে সেমিনার বিষয়ে তারা কিছু বলেননি। সেমিনারের বিষয়ে কওমি আলেমরা একেবারেই চুপচাপ রয়েছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেছেন একজন আলেম জানান, ফলপ্রসূ কোনো আলোচনা হয়নি। সেমিনারে হেফাজতের কেউ আসেনি। যে যার বক্তব্য দিয়েছে। বৈঠকের বিষয়ে গত মঙ্গলবার রাত থেকেই কওমি মাদ্রাসার আলেমদের মধ্যে কানাঘুঁষা চলছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বৈঠকে অংশগ্রহণ নিয়ে সাধারণ কওমি আলেমদের মধ্যেও সমালোচনা হয়। একাধিক আলেম জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে আলেমদের ভূমিকা চাইছে সরকার। এরইমধ্যে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। গতকাল বুধবারের আলোচনায় ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান হাসনাত আমিনী, মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ ও আলতাফ হোসাইনের অংশগ্রহণের কথা জানিয়েছিল দলটির একজন নেতা। যদিও এদিন বিকালে দলটির শীর্ষস্থানীয় একনেতা এ প্রতিবেদককে জানান, তারা কোনও বৈঠকে অংশ নিচ্ছে না।

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অবস্থান প্রসঙ্গে সেমিনারে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে উলামায়ে কেরামরা খুবই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। দেশের শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষায় উলামায়ে কেরামদের এভাবে সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ধর্মমন্ত্রী বলেন, আলেমণ্ডউলামারা আমাদের সমাজের অত্যন্ত সম্মানিত ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব। তারা সবাই অত্যন্ত সচেতন ও দায়িত্বশীল মানুষ। সরকার দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ ও বাস্তবায়নে উলামায়ে কেরামদের মতামত ও পরামর্শকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে থাকে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের আলোকে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় ও উন্নয়ন-অগ্রগতিকে গতিশীল রাখতে আলেমণ্ডউলামা সমাজের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। সম্প্রতি অগ্নিসন্ত্রাস, নাশকতা ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে যে হত্যাকাণ্ড ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ধ্বংস করা হয়েছে, তার নেপথ্যে যারা ছিল- তাদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচন করার ক্ষেত্রে উলামায়ে কেরামদের এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানান মন্ত্রী। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীকের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বর্তমান সরকার ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর খেদমতে নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ইসলাম শিক্ষার প্রসার ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান অবিস্মরণীয়।