ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আওয়ামী লীগের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য

আওয়ামী লীগের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য

শোকের মাস আগস্টের আজ ৩ তারিখ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের গুলিতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা ওই সময় বিদেশে অবস্থান করায় ঘাতকের বুলেট থেকে প্রাণে রক্ষা পান। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকে বিশ্বের মানবতার ইতিহাসে এ কলঙ্কিত ঘটনা স্মরণে আগস্ট মাসকে শোকের মাস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। রাজধানীসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও এর অংশ সংগঠনের উদ্যোগে পালিত হচ্ছে নানা কর্মসূচি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমৃত বাংলাদেশের প্রাচীনতম এ দলটির নেতৃত্ব দেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ দলটির সঙ্গে তার রয়েছে একটি অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজ জনমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। এখন এই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুরই কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে একই সঙ্গে দেশ ও দল পরিচালনার মহান দায়িত্ব পালন করছেন। এক হাতে দেশ ও দল পরিচালনা করার ক্ষেত্রে তিনি যে বিচক্ষণতার পরিচয় দিচ্ছেন, তা অবিস্মরণীয়। তিনি এখন আর শুধু বাংলাদেশের নেতা নয়, তিনি তার নেতৃত্বের গুণাবলীতে সমুন্নত হয়ে বিশ্ব দরবারে নেতৃত্বের আসন অলংকৃত করেছেন। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ দুটি সমর্থক শব্দ। একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটি কল্পনা করা কঠিন। আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে এদেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে নিয়ে। এ দলটির নেতৃত্বে পরিচালিত হয় ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে পরিচিত ১৯৬৬ সালের ছয় দফা, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ। শুধু তা-ই নয়, ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ দেশের গণতন্ত্র, ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দলটি নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে। সে কারণে দলটি এ দেশের তৃণমূল মানুষের শিকড়ের সঙ্গে মিশে আছে বলেই নানা সংকটের মধ্যেও দলটি অটল ও অবিচল। বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া দলটি আজ রাষ্ট্র ক্ষমতায়। দলের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের সঙ্গে একাকার হয়ে গেছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন এ দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার কেএম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে। মুসলিম লীগের প্রগতিশীল একটি অংশের উদ্যোগে বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’। প্রতিষ্ঠাকালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী দলটির সভাপতি, শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং কারাবন্দি শেখ মুজিবুর রহমান যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন- ‘কোথাও হল বা জায়গা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত হুমায়ুন সাহেবের রোজ গার্ডেনের বাড়িতে সম্মেলনের কাজ শুরু হয়েছিল।’

আলোকিত বাংলাদেশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত