ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শেখ হাসিনার গন্তব্যস্থল নিয়ে টানাপড়েন

শেখ হাসিনার গন্তব্যস্থল নিয়ে টানাপড়েন

দেশজুড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে শেখ হাসিনা পৌঁছেছেন। তবে শেখ হাসিনার শেষ গন্তব্যস্থল কোথায় হতে পারে সেটি নিশ্চিত করা যায়নি। কোন দেশে স্থায়ীভাবে থাকবেন তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা কাটেনি। তবে, তিনি দিল্লি থেকে লন্ডনে যেতে পারেন বলে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বিবিসিকে বলেছে, সদ্য পদত্যাগকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে ভারতে এলেও সেখানে থাকার সম্ভাবনা কম। এর আগে ভারতের একজন কর্মকর্তা স্থানীয় সময় বেলা তিনটা নাগাদ বিবিসির কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেন যে, শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা দুজনই ভারতে (ভারতের আকাশসীমায়) প্রবেশ করেছেন। গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে শেখ হাসিনা প্রথমে ভারতের আগরতলা যান। সেখান থেকে তাকে বহনকারী বিমান ভারতের রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছেছে বলে খবর প্রকাশ করে এনডিটিভি।

তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার বিকাল ৫টা ৩৬ মিনিটে শেখ হাসিনা ভারতের দিল্লির পার্শ্ববর্তী হিনডেন এয়ারবেসে পৌঁছেছেন। এর আগে সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে গণভবন ছেড়ে যান শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে বহনকারী সামরিক হেলিকপ্টারটি উড়িয়ে নিয়ে গেছেন এয়ার কমোডর আব্বাস। তিনি ১০১ স্কোয়াড্রনের সদস্য। আন্তর্জাতিক বিমান ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডারে বেলা সাড়ে তিনটা নাগাদ দেখা যায়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি সিজে-৩০ পরিবহন এয়ারক্র্যাফট ভারতের ধানবাদ শহরের ওপর দিয়ে উড়ছে এবং উত্তর ভারতের দিকে এগোচ্ছে।

তবে সেই বিমানটি কোথা থেকে রওনা হয়েছে বা কোথায় যাচ্ছে, সে ব্যাপারে ফ্লাইটরাডারে কোনো তথ্য ছিল না। বোঝাই যাচ্ছিল এটি একটি অনির্ধারিত ফ্লাইট। বিকাল ৫টা নাগাদ দিল্লির কাছে হিন্দন সামরিক বিমানঘাঁটিতে আরো একটি সিজে-৩০ অবতরণ করে। তবে এই দুটি একই বিমান কি না তা স্পষ্ট নয়। ওই বিমানটিতেই শেখ হাসিনা ছিলেন কি না, সেটাও পরিষ্কার নয়। তবে তিনি প্রথমে কোথায় অবতরণ করেন, তারপরে কোন শহরের উদ্দেশে রওনা দেন সে ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি বা সরকারি পর্যায়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। দিল্লির সাউথ ব্লকের একটি সূত্র বলেছে, ভারতে এই মুহূর্তে পার্লামেন্টের অধিবেশন চলছে। ফলে এ ব্যাপারে যা বলার, সবার আগে সরকার সভাতেই বলবে, কিংবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দেবে। আপনারা ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তবে ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকেও পার্লামেন্টে বা পার্লামেন্টের বাইরে এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি আসেনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে লিখেছে, শেখ হাসিনা ভারতে নয়, লন্ডনে আশ্রয় চেয়েছেন। তবে ভারতের দিল্লি হয়ে তিনি লন্ডনে যাবেন। সোমবার রাতটা হয়তো তারা দিল্লিতে থাকবেন। নিউজ এইটিন বলছে, শেখ হাসিনার ছোট বোনা শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যের নাগরিক। রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সংসদ সদস্য। যে কারণে তারা যুক্তরাজ্যে যেতে পারেন। সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, শেখ হাসিনা ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি। তিনি সম্ভবত লন্ডনে যাবেন। তবে কয়েক দিন দিল্লিতে ‘সেফ হাউসে’ থাকতে হতে পারে তাদের। এরপর ল-নের উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত