১৫ আগস্ট ছুটি প্রসঙ্গে সিনিয়র সচিব

প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, এ দিন সরকারি ছুটি। শেখ হাসিনা সরকারের আমল থেকে শুরু হওয়া এ শোক দিবস ও সরকারি ছুটি থাকছে কি না, সেই ইস্যুতে ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ কোনো সিদ্ধান্তই আসেনি বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

সামনে ১৫ আগস্ট, সরকারি ছুটি। সেক্ষেত্রে আপনারা কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? এ প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব বলেন, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

মাত্র তো তিন দিন বাকি আছে। মাঠপর্যায়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়ার বিষয়ে আপনারা কিছু ভাবছেন কি না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি। এমন কিছু যদি থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই সেটি আমরা জানতে পারব। কিন্তু আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দুপুরে সচিবদের বৈঠক ইস্যুতে সিনিয়র সচিব বলেন, তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) তারুণ্যের শক্তির ওপর আলোকপাত করেছেন। সেখানে বলেছেন যে, তারুণ্যের শক্তির মাধ্যমে যে পরিবর্তন আসছে, এর মাধ্যমে একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমরা যেন এই সুযোগটাকে কাজে লাগাই। মেজবাহ উদ্দিন বলেন, সব মন্ত্রণালয়, বিভাগগুলোকে নিয়ে যেভাবে আমরা কাজ করছিলাম, তার চেয়েও ভালোভাবে ফাংশন (কাজ) করতে হবে। যেন আমরা প্রতিটা মন্ত্রণালয়, বিভাগের কাজগুলোকে বাস্তবায়ন করতে পারি। এই বিষয়ে তিনি সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের আসলে মূলত হচ্ছে সেব মন্ত্রণালয়, বিভাগ প্রধান, উপদেষ্টার সঙ্গেই আছি। সরাসরি আমরা কীভাবে নথি উপস্থাপন করব, কীভাবে নির্দেশনাগুলো গ্রহণ করব, মূলত এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সচিবদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান তিনি। পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বিষয়গুলো আমরাই প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করেছি। আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ১৫-১৬ বছরে যেসব বিসিএসের ব্যাচের পদোন্নতি হয়েছে, যারা পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের বিষয়গুলো আমরা সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করছি। এরই মধ্যে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, আমরা এই বিষয়গুলোকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাব খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে। যারা পিএসসি থেকে বিসিএসের সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন ২৮ থেকে ৪২ ব্যাচের, তাদের বিষয়গুলো আমরা উপস্থাপন করেছি প্রধান উপদেষ্টার কাছে। আমরা আশা করছি, কাল বা পরশুর মধ্যে এই বিষয়ে একটা প্রতিকার নিতে পারব। চলমান প্রকল্পগুলো নিয়ে কোনো কথা হয়নি জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, মূলত মন্ত্রণালয়, বিভাগগুলোকে ফাংশন করা, দপ্তরগুলোকে ফাংশন করাটাই হচ্ছে এখনকার মূল কাজ। যে কাজগুলো সচিবালয় পর্যায়ে বা দপ্তর পর্যায়ে নিষ্পত্তি করা যাবে, সেগুলো যেন নিষ্পত্তি করা হয়। তিনি বলেন, এছাড়া অন্যান্য বিষয়গুলো যে আছে, যেগুলো সাত দিনের ভেতরে জরুরি ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। যেগুলোর বিষয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে না, তার (প্রধান উপদেষ্টা) কাছে আমরা সিদ্ধান্তগুলো চাইব।