ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

স্বল্প সময়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বদলেছে

কাজে ফিরেছে পুলিশ

* পুলিশকে ফুলেল শুভেচ্ছা শিক্ষার্থীদের * চাঁদামুক্ত সড়ক ঘোষণায় স্বস্তি প্রকাশ চালকদের * শিক্ষার্থীদের দ্রুত পড়ার টেবিলে ফেরানোর তাগিদ
কাজে ফিরেছে পুলিশ

দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে রাস্তায় নেমেছে ট্রাফিক পুলিশ। তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এখন রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব ট্রাফিক পুলিশের হাতে ছেড়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ফিরে যাওয়া উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সদ্যবিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাস্তায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়ে। আর সেই ভেঙে পড়া ট্রাফিকের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। টানা সাতদিন পর ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় ফিরেছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে ট্রাফিক সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করে। কিছু কিছু ট্রাফিক সিগন্যালে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা এখনও আছেন। তবে ট্রাফিক পুলিশ সড়কে ফিরে আসায় গত কয়েকদিনের তুলনায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কম।

কর্মস্থলে নিরাপত্তা, ৫ আগস্ট এবং পূর্ববর্তী সহিংসতায় আহত-নিহতদের ক্ষতিপূরণ, পুলিশে সংস্কারসহ ১১ দফা দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করছিলেন পুলিশ সদস্যরা। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইজিপিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর কর্মবিরতিসহ সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা। গতকাল সোমবার থেকে তারা সবাই কাজে যোগ দেওয়ারও ঘোষণা দেন।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ বাঁধে। বিভিন্ন থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়। তাতে অনেক পুলিশ সদস্য হতাহত হন, আতঙ্কে বেশিরভাগ থানা পুলিশশূন্য হয়ে পড়ে। রাস্তা-ঘাট থেকেও উধাও হয়ে যান ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। এ অবস্থায় সারাদেশের রাস্তায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়ে। তখন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সামলাতে মাঠে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

ট্রাফিক-তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) স্নেহাশীষ বলেন, তেজগাঁও এলাকায় ট্রাফিকের কাজে প্রায় ৮০ শতাংশ ফোর্স নেমেছে। ট্রাফিকের উপস্থিতির পর শিক্ষার্থীরা বাসায় ফিরছেন। ট্রাফিক-লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) সালমা সৈয়দ পলি বলেন, গতকাল প্রায় সব মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ কাজে যোগ করেছেন। ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করছে। একই কথা বলেন, ট্রাফিক-মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আবু ইউসুফ। তিনি বলেন, প্রায় সব জায়গায় ট্রাফিক সদস্য কাজ করছেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও আমাদের সঙ্গে কাজ করছে।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান জানান, সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অনেক স্থানে ট্রাফিক পুলিশ কাজে যোগ দিয়েছেন। গত রোববার থেকে ঢাকার মোড়ে মোড়ে ইউনিফর্মে পুরোদমে কাজ শুরু করেছে ট্রাফিক সদস্যরা।

তিনি আরো বলেন, আমরা ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। দিনভর বিভিন্ন ট্রাফিক সিগনালে নিয়োজিত ছাত্রদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি। শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়েছে।

গত কয়েকদিন ঢাকার প্রায় সব রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে দিন-রাত ঘাম ঝরিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ কাজে তারা যাত্রীদের প্রশংসাও পেয়েছেন। অনেক সড়কে শিক্ষার্থীদের খাবার পানি, খাবার এবং ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে অনেকে। পুলিশের অনুপস্থিতিতে যানজটের এই শহরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বিএনসিসি, আনসার সদস্য ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যদেরও কাজে লাগানো হয়।

গত রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, যেসব শিক্ষার্থী রাস্তায় ট্রাফিকের কাজ করছে তাদের তালিকা করে সবাইকে পুলিশের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। এই সার্টিফিকেট চাকরি ক্ষেত্রে যেন মূল্যায়ন হয়।

সড়কে গাড়ি বাড়ার সাথে সাথে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে। ওয়ান ওয়ে সড়কে তারা দাঁড়িয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে। এখানে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে। তাদের ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কেও যথেষ্ট ধারণা নেই। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলছেন, সড়কে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় মোড়ে মোড়ে যানজট ও বিশৃঙ্খলা হচ্ছে।

সিদ্ধেশ্বরী কলেজের শিক্ষার্থী আবির হাসান বলেন, তাদের গ্রুপের মোট ৭০ জন শিক্ষার্থী রোস্টার করে এই দায়িত্ব পালন করছেন। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত একটি দল এবং বাকিরা পরে দায়িত্ব পালন করবে। যতদিন পুরোপুরিভাবে ট্রাফিক পুলিশ না আসে এ কার্যক্রম চলবে।

সড়কে দায়িত্ব পালন করা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, আমরা করোনা মহামারি, নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেবামূলক কাজ করে থাকি। সাম্প্রতিক হিট ওয়েভেও বিভিন্ন এলাকায় ছাউনি তৈরি করে কাজ করেছি। এমনকি সবশেষ আন্দোলনে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও উদ্ধারে কাজ করেছি। এখন ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় তাদের দায়িত্বে সহায়তা করছি।

এদিকে শিক্ষার্থীদের এই প্রচেষ্টায় সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকেও। পানি, শরবত ও শুকনা খাবার নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তারা। তাদের প্রসংশায় পঞ্চমুখ হয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষরা।

নাগরিকদের নানা সমস্যা ও অধিকার নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ট্রাফিক সিগন্যালে ক্রান্তিলগ্নে শিক্ষার্থীদের কাজ করেছে তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় নামায় শিক্ষার্থীদের দ্রুত পড়ার টেবিলে ফেরানো দরকার।

সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের ভূমিকার প্রশংসা থাকলেও তা দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় নেতিবাচক দিক নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। স্কুলপড়ুয়াদের ওয়ান ওয়ে সড়কে অবস্থানে ঝুঁকি ও ট্রাফিক নিয়ম না জানায় বিশৃঙ্খল অবস্থা নিয়ে কথা বলছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নতুন সরকারের যাত্রার কয়েক দিন পেরিয়ে গেলেও ট্রাফিক পুলিশ নিশ্চিত না করতে পারায় সরকারের সমালোচনা করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষরা।

কুষ্টিয়া : ট্রাফিক কার্যক্রমসহ পুরোদমে কুষ্টিয়া জেলার সাতটি থানার সব পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সাতটি থানার মধ্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কুষ্টিয়া মডেল থানা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সদর পুলিশ ফাঁড়িতে অস্থায়ী ভিত্তিতে কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ। গতকাল কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন পুলিশিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও বিএনপিসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় পুলিশকে ফুল উপহার দেয়া হয়। একইসঙ্গে কুষ্টিয়ার বাকি ৬টি থানা মিরপুর, ভেড়ামারা, দৌলতপুর, খোকসা, কুমারখালী ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাতেও পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, পুরোদমে পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশও কাজ শুরু করেছে। থানা থেকে চুরি যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু করা হয়েছে। শিগগিরই চুরি হওয়ায় অস্ত্র উদ্ধার করা হবে।

নওগাঁ : গত সাতদিন ধরে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে মাঠে নামেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় কোনো সড়কেই ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি। গতকাল সব ধরনের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ট্রাফিক ব্যবস্থা চালুর মধ্যে দিয়ে পুলিশ সদস্যরা কাজ শুরু করেন। সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশরা। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছে জেলার সাধারণ মানুষের মাঝে। ট্রাফিক পুলিশ কাজে ফেরায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরআগে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক এর নেতৃত্বে জেলা পুলিশের একটি মোটরসাইকেল শোডাউন করেন। এ সময় পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক বলেন, কয়েকদিন আগে থেকেই জেলার ১১টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়। এছাড়া সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ টহল অব্যাহত ছিল। তবে জেলায় কোনো ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। এমনকি পুলিশের কোনো স্থাপনা ও অবকাঠামো বা কোনো ধরনের সরঞ্জামের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এখন থেকে পুরোদমে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছে পুলিশ সদস্যরা। মানুষের নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাবে।

নীলফামারী : নীলফামারী ছয়টি থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে সকল ধরনের আইনি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগের মতোই সাধারণ ডায়েরি, হারানো জিডি, এজাহার মামলা নেয়া শুরু হওয়ায় থানাগুলোর মানুষের মাঝে শান্তি ফিরে এসেছে। গতকাল নীলফামারী পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. মোকবুল হোসেন। এ সময় জেলার পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সুপার মো. মোকবুল হোসেন আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমরা সকলেই রাষ্ট্রের নাগরিক, সকলের অধিকার সমান।’ গুজব ছড়িয়ে মানুষের মাঝে ভয়ভীতি সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকতে সকলকে অনুরোধ জানান।

তিনি আরো বলেন, আমরা দেশের একটি কঠিন পরিস্থিতিতে থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ থেকে আবারও পুলিশ সদস্যরা জনগণের বন্ধু হয়ে পাশে থেকে কাজ করা শুরু করেছি। থানার পুলিশের সাথে শহরে যানজট নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে ট্রাফিক বিভাগ। সদর ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই) জ্যোর্তিময় রায় আলোকিত বাংলাদেশ’কে বলেন, গত ৫ আগস্ট থেকে দেশের সমসাময়িক পরিস্থিতির কারণে পুলিশের কার্যক্রমের সাথে সাথে ট্রাফিকের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় । পুলিশ সুপার স্যারের আদেশে অবারও আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাফিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সরকারি বিভিন্ন স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, পিকেটিং, অগ্নিসংযোগ ও হামলা হওয়ায় সারাদেশের মতো নীলফামারীর ছয় থানায় সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে।

ভোলা : গত কয়েকদিন ধরে চলা কর্মবিরতি শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজে ফিরেছে ভোলা জেলা পুলিশ। শুরু হয়েছে থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম। ভোলার থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে সকল প্রকার আইনি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো সাধারণ ডায়েরি (জিডি), হারানো জিডি, মামলা গ্রহণসহ থানাগুলোতে পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ সময় পুলিশ সদস্যদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এদিকে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এক সপ্তাহ পরে কাজ শুরু করেছে ট্রাফিক পুলিশ। তাদের সঙ্গে আছে শিক্ষার্থীরাও। অধিকাংশ সড়কে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের দেখা গেছে। এছাড়া কিছু কিছু পয়েন্টে এখনো শিক্ষার্থীরাই মূল ভূমিকা পালন করছে।

গতকাল সোমবার ভোলার কালিবাড়ী মোড়ে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান এর পক্ষ থেকে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। পরে ভোলা থানায় পুলিশ সদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান। এ সময় তিনি বলেন, ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে সবাইকে দেশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে জনগণের কল্যাণ আশা করা যায় না। আমরা সবাই রাষ্ট্রের নাগরিক। সবার অধিকার সমান। গুজব ছড়িয়ে মানুষের মাঝে ভয়ভীতি তৈরি না করার অনুরোধ জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

কাউখালী : কাউখালীতে পুলিশের কর্মবিরতির পর গতকাল থেকে কাজে যোগদান করেছেন। থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ন কবিরের নেতৃত্ব সকল অফিসার ও কনস্টেবলরা কাজে যোগদান করেন। এ সময় উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও জামায়াত ইসলামের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা ফুল দিয়ে পুলিশকে বরণ করে নেন। ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এসএম আহসান কবির, সদস্য সচিব এইচ এম দ্বীন মোহাম্মাদ। জামায়াত ইসলামীর উপজেলা আমির মাওলানা সিদ্দীকুর রহমান, সেক্রেটারি মাওলানা নজরুল ইসলাম এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের সভাপতি আলী হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় থানা পুলিশের যোগদানকৃত প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত