দেশের গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ অর্জনে এবং রোহিঙ্গাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য ইস্যুতে যুক্তরাজ্য কীভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজে সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেছে দুই দেশ। গতকাল বুধবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি যুক্তরাজ্য সরকারের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। হাইকমিশনার বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে শান্তি-শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথ তৈরিতে কাজ করায় যুক্তরাজ্যের সমর্থন রয়েছে।’ বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দৃঢ় ও টেকসই সম্পর্ক, দুই দেশের জনগণের মধ্যকার গভীর সম্পর্ক এবং অভিন্ন কমনওয়েলথ মূল্যবোধের মাধ্যমে সম্পর্ক আরো দৃঢ় করার বিষয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার। সারাহ কুক বলেন, বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অংশীদার ও বন্ধু হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানায় যুক্তরাজ্য। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় আমরা গভীরভাবে ব্যথিত। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য একটি ভিন্ন ভবিষ্যতের আহ্বানে শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য আরো অনেকের সাহসিকতাকে আমরা স্বীকৃতি দিই। তিনি আরো বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য শান্তি-শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের শান্তিপূর্ণ পথ রচনায় কাজ করায় যুক্তরাজ্যের সমর্থন রয়েছে।’