উপদেষ্টা বাড়ছে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ আজ

প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে আরো কয়েকজন যুক্ত হবেন বলে জানা গেছে। নতুন করে পাঁচ উপদেষ্টারা আজ শুক্রবার শপথ নেবেন। গত বৃহস্পতিবার বিকালে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং জানিয়েছে, আজ শুক্রবার বিকাল ৪টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের শপথ পাঠ করাবেন।

এদিকে সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে নতুন করে চার-পাঁচজন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিতে পারেন। তবে নতুন উপদেষ্টাদের মধ্যে কারা রয়েছেন, তাৎক্ষণিকভাবে সে তথ্য জানা যায়নি।

জানা গেছে, সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক উপদেষ্টার দায়িত্ব নিতে পারেন।

জানা যায়, গত ৮ আগস্ট রাতে নবীন-প্রবীণের সমন্বয় গঠিত হলো দেশের বহুল আলোচিত অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বঙ্গভবনের দরবার হলে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ সময় আরো ১৩ জন উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ গ্রহণ করেন। শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও কূটনীতিকরা দরবার হলে উপস্থিত ছিলেন।

পরবর্তীতে ১১ ও ১৩ আগস্ট আরো তিনজন উপদেষ্টা শপথ নেন। তারা ঢাকার বাইরে থাকায় পরে শপথ নেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা হলেন- ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন. ড. আসিফ নজরুল, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শারমিন মুরশিদ, ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক), আদিলুর রহমান খান, সুপ্রদীপ চাকমা, ফরিদা আখতার, বিধান রঞ্জন রায়, আ ফ ম খালিদ হাসান, নুরজাহান বেগম, মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

এরইমধ্যে শপথ নেওয়া প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যান্যদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ ২৭টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। এ মন্ত্রণালয়গুলো হলো- মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

উপদেষ্টাদের মধ্যে সালেহ উদ্দিন আহমেদকে দেওয়া হয়েছে দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। তিনি সামলাবেন. অর্থ মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। ড. আসিফ নজরুল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আদিলুর রহমান খানকে দেওয়া হয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন হাসান আরিফ। মো. তৌহিদ হোসেন পেয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, শারমীন এস মুরশিদ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ফরিদা আখতার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, নুরজাহান বেগম স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সুপ্রদীপ চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বিধান রঞ্জনকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফারুক-ই-আজমকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে দেওয়া হয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব এবং আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে দেওয়া হয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।