ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দিনভর ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী

দিনভর ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন? শ্রেণি-পেশার মানুষ নিজেদের দাবি আদায়ে রাজধানীজুড়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছেন। এতে যানবাহন চলাচলে বিঘ? হওয়ায় দিনের বেশিরভাগ সময়ে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা গন্থব্যস্থলে পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পড়েছেন। গতকাল রোববার চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবি নিয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয় গ্রামপুলিশ। প্রেসক্লাব, শাহবাগ ও প্রধান বিচারপতির বাস ভবনের সামনের সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। অন্যদিকে নীলক্ষেত, সায়েন্সল্যাব, মহাখালী ও শাহবাগ এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিভিন? দাবি-দাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীসহ পেশাজীবী লোকজন। এতে পুরো ঢাকাজুড়ে যানজট তৈরি হয়। ফলে বহু যাত্রী গণপরিবহন থেকে নেমে হেঁটে গন্থব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রায় একমাস পর গতকাল সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোদমে খুলেছে। এরমধ্যেই চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে প্রধান বিচারপতির বাসার সামনের রাস্তায় বসে পড়েন গ্রামপুলিশের সদস্যরা। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করেও ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হন বলে অভিযোগ করেন গ্রামপুলিশের আন্দোলনকারী সদস্যরা। তাই দাবি আদায় করতেই তারা রাজপথে আছেন বলে জানান। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করছেন। বিকাল ৫টা পর্যন্ত তারা অবস্থান করেন রাস্তায়। এতে রাস্তায় যানজট তৈরি হয়। সকাল থেকেই গ্রামপুলিশের পাঁচ শতাধিক সদস্য আন্দোলনে যোগ দেন। তবে বিকালের দিকে তাদের সংখ্যা কমে যায়। বিক্ষোভ মিছিলে তারা চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে বিভিন? স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় আন্দোলনরত গ্রামপুলিশের সদস্যরা বলেন, ‘আমাদের দাবি একটাই; সেটি হলো, আমাদের চাকরি জাতীয়করণ করতে হবে। জাতীয়করণ না করা হলে আমরা রাজপথ ছাড়বো না।’ অন্যদিকে সায়েন্সল্যাব ও নীলক্ষেত মোড়ে চার দফা দাবি নিয়ে সড়কে নামে শিক্ষার্থীরা। তারা এইচএসসির বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিলের দাবিতে সড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় আশপাশে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন? পদে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা অনশন ও বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় গুলশান থেকে মহাখালী যাওয়ার সড়কটি বন্ধ হয়ে যায়।

কলাবাগানে যানজটে আটকে থাকা আজিমপুরগামী বিকাশ পরিহনের এক যাত্রী মহিবুল ইসলাম বলেন, আমাদের সাধারণ মানুষের শান্তি নেই। রাস্তায় লোকজন নামলে গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। অসুস্থ মানুষ হাঁটতেও পারছি না। উপায় না পেয়ে বসে আছি।

আরেক যাত্রী বিল্লাল মিয়া বলেন, এখন অফিস পুরোদমে চলছে। সকালে ঘর থেকে বের হয়ে জ্যামে আটকে যাচ্ছি। এর মধ্যে যদি রাস্তায় কোনো আন্দোলন-বিক্ষোভ থাকে, তাহলে তো আর কথাই নেই। রাস্তায় সময় কাটে। অসুবিধা নেই, আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশার (ট্রাফিক, ধানমন্ডি জোন) নবকুমার বিশ্বাস বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোদমে খুলে দেয়ায় সড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে। এছাড়া শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব ও আরো কিছু পয়েন্টে বিক্ষোভকারীরা নামার কারণে সড়কে ভোগান্তি বেড়েছে। আশা করছি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত