পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহবাজ শরিফ বলেছেন, তিনি আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক উভয় ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছেন। ইউনূসকে লেখা চিঠিতে তিনি বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় আমাদের সক্রিয়ভাবে খুঁজে বের করা দরকার বলে আমি বিশ্বাস করি। এটি দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এই চিঠির তথ্য জানানো হয়েছে। পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়; যা দুই দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আন্তরিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই; যা দুই দেশের জনগণের জীবনে অর্থবহ পরিবর্তন আনতে পারবে।’ শাহবাজ শরিফ বলেন, ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম দেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে পাকিস্তান অত্যন্ত মূল্য দেয়। চিঠিতে তিনি আরো বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস, আমরা এখন আমাদের দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সম্পর্ককে আরো উন্নত করার সুযোগ পাচ্ছি। দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি উল্লেখ করেন, পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে একটি শক্তিশালী এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়, যা দুই দেশের জনগণের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর পূর্বপাকিস্তান স্বাধীন হয়ে বাংলাদেশ নামে নতুন রাষ্ট্র গঠন করে। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয় আওয়ামী লীগ। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়, যা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটায়। ২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হন এবং বর্তমানে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। এরপর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। শাহবাজ শরিফ ৮ আগস্ট এই সরকারের গঠনের পর ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
