ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক চিকিৎসা শেষে বাসায় গিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে বাসায় যান। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য জানান। ৮ জুলাই মধ্যরাতে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরমধ্যে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন রাষ্ট্রপতি।

সূত্র জানায়, বন্দিদশাতেই কেটে গেল বেগম খালেদা জিয়ার ৭টি বছর। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত খালেদা জিয়াকে ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ দুর্নীতির মামলায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন। পরে ওই বছরের ৩০ অক্টোবর খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে তার ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। এরপরই তাকে বন্দি করে পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগার কাশিমপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর অসুস্থ হলেও খালেদা জিয়াকে আটক অবস্থায় দীর্ঘদিন হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে। এদিকে, একই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পুরোনো ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে শেষ হওয়া ‘জিয়া অরফ্যানেজ ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হয়। এর প্রায় ১৮ মাস পর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালত আবেদনটি খারিজ করে দেন। খালেদা জিয়ার আপিল আবেদন খারিজ করা হয় তার নামে থাকা আরেকটি আলোচিত মামলা যেখানে ‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ নামের প্রতিষ্ঠানে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। এরপর থেকেই দলের সিনিয়র নেতারা প্রতিবাদ সভা করে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করে আসছেন। তারা সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন এবং বিগত নির্বাচনের সমালোচনা করেন। তারা নেতাকর্মীদের একত্রিত হয়ে তাদের ভাষায় লড়াই করার আহ্বান জানান। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি।

জানা যায়, ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি বিএনপির প্রাথমিক সদস্য রূপে দলে যোগ দেয়ার পর থেকে মোট পাঁচবার তিনি আটক হন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে, ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর আটক হন। তিনি ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর ৩ তারিখে দুর্নীতির অভিযোগে পুত্রসহ আটক হন। ওই সময় কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালে খালেদা জিয়াসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন যা ‘নাইকো দুর্নীতি মামলা’ নামে পরিচিত। এছাড়াও তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় খালেদা জিয়ার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি সর্বোচ্চ বিচারালয়ের নির্দেশে মুক্তিলাভ করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক বন্দি হওয়ার পর দীর্ঘ এক বছর সাত দিন কারাগারে অবস্থানকালে তার বিরুদ্ধে চলতে থাকা কোনো অভিযোগেরই উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি এবং চলতে থাকা তদন্তে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত