ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের অভিন্ন স্বার্থে কাজ করবে পেন্টাগন

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের অভিন্ন স্বার্থে কাজ করবে পেন্টাগন

ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। এ বিষয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। দপ্তরটি বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজের প্রতীক্ষায় রয়েছে তারা। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার। তিনি বলেন, অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের মতো বিষয়কে সামনে রেখে দুই দেশের যৌথ মূল্যবোধ ও অভিন্ন স্বার্থকে প্রধান্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে পেন্টাগন। এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকাকে পেন্টাগন কীভাবে দেখছে? এই ক্রান্তিকালে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে কোনো ধরনের সহযোগিতা বা যোগাযোগ হচ্ছে? জবাবে পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, আপনি জানেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের মতো বিষয়কে সামনে রেখে দুই দেশের যৌথ মূল্যবোধ ও অভিন্ন স্বার্থকে প্রধান্য দিয়ে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। তবে এই মুহূর্তে নির্দিষ্ট কোনো যোগাযোগ বা সহযোগিতার বিষয়ে বলার মতো কিছু নেই। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে বলবো, আমরা অবশ্যই মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং যে কোনো সহিংসতা এড়ানোর প্রত্যাশা করবো। তবে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ব্যাপারে বিশদ জানতে আমি আপনাকে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে যোগাযোগ রাখার জন্য বলবো। এদিকে, একই দিন নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক আন্দোলনে শেখ হাসিনার নির্দেশে গুলি করা হলে ৮১৯ জন নিহত এবং ২৫ হাজার আহত হয়েছেন উল্লেখ করে দায়ীদের বিচারের ব্যাপারে জাতিসংঘের অবস্থান জানতে চান। জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, জাতিসংঘ অবশ্যই বিচার দেখতে চায়। আমরা এই বিশেষ সংকটের শুরু থেকেই জবাবদিহিতার কথা বলে আসছি। সহিংসতা, প্রাণহানি এবং মানবিক ও রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়বদ্ধতা থাকা দরকার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত