ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বন্যার্তদের সহযোগিতায় যুব সংগঠনের দৈনন্দিন কার্যক্রম

বন্যার্তদের সহযোগিতায় যুব সংগঠনের দৈনন্দিন কার্যক্রম

ফেনী জেলায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও স্থানীয় যুব সংগঠনসমূহের উদ্যোগে ত্রাণ কার্যক্রমে ১০ কেস পানির বোতল, শুকনা খাবার হিসেবে ৫০ ব্যাগ চিরা, ৫০ ব্যাগ মুড়ি, ৫০ কেজি গুড়, ২০ কার্টন বিস্কুট, ৫০ প্যাকেট মোমবাতি, ৫০ বাক্স ম্যাচ, ২০০ পিস বাটার বান, ২০০ কেজি চাল ও ১০০টি গামছা বিতরণ করা হয়েছে। উল্লিখিত ত্রাণ সামগ্রি ৫০টি পরিবারের মাঝে বগডাদিয়া, ছাগলনাইয়া, ফেণি এলাকায় বিতরণ করা হয়েছে। নোয়াখালি জেলা: যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও যুব সংগঠনের অংশগ্রহণে নোয়াখালীতে ৬ আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০০ জনের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্যা দুর্গত নোয়াখালি সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনের কার্যক্রম নিম্নরূপ: ১. স্বপ্নচূড়া যুব সংগঠন: প্রাণিসম্পদ সম্পদ দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে বিনামূল্যে গবাদিপশুর চিকিৎসা প্রদান; ২. বাঁধের বাঁধেরহাট যুব কল্যাণ সংস্থা দুইটি ইউনিয়নে বিশ জন স্বেচ্ছাসেবক বন্যার্তদের সহায়তায় দায়িত্ব পালন করে ১২০ জনের মাঝে সকাল এবং দুপুরের খাবার বিতরণ করেছে; ৩. আলো যুব উন্নয়ন সংস্থা বন্যা দুর্গতদের উদ্বুদ্ধ করে ৩২ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে প্রেরণ ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছে; ৪. সহযোগিতা যুব কল্যাণ সংস্থা বিভিন্ন ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন ও আগামী দিন খাবার বিতরণের লক্ষ্যে তালিকা প্রণয়ন করেছে; ৫. প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট আশ্রয়কেন্দ্রে অসুস্থ মহিলাদের মনোবল বৃদ্ধির কার্যক্রম করেছে। কুমিল্লা জেলা: কুমিল্লার সব যুব সংগঠন ও জেলা যুব ফোরাম, কুমিল্লার পক্ষ থেকে গত শুক্রবার-শনিবার সকাল ১১:০০ টাকায় কুমিল্লা জিলা স্কুল বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রসহ অন্যান্য আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত করে। বিভিন্ন যুব সংগঠন ও যুব সংগঠকদের মধ্যে কেউ অংশগ্রহণ করতে চাইলে সরাসরি সকালে নিউমার্কেট ১নং গেইটে আপনার স্ব স্ব ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিলো। যে সব ত্রাণ/ খাবার সামগ্রী ছিলো- ক. খিচুড়িবক্স; খ. মুড়ি/ চিড়া; গ. বিশুদ্ধ পানি/ মিনারেল ওয়াটার; ঘ. খাবার স্যালাইন; ঙ. পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট; চ. কলা/ অন্যান্য ফল; ছ. রুটি/ বিস্কুট/ শুকনো খাবার; সার্বিক তত্ত্বাবধানে: মো. সামসুজ্জামান, উপ-পরিচালক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, কুমিল্লা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা: আখাউড়াস্থ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরাধীন আলোকিত-ধর্মনগর যুব সংগঠনের সভাপতি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে যুব সংগঠনের উদ্দ্যেগে বন্যার্তদের মাঝে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে শুকনা খাবার বিতরনসহ বন্যার্তদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে আসছেন। এ ছাড়াও রাজেন্দ্রপুর যুব কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রমজানুল ইসলামের নেতৃত্বে যুব সংগঠনের সব সদস্য বন্যার্তদের উদ্ধার কাজে নিয়োজিত থেকে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং বন্যার্তদের সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য যে সব, স্বেচ্ছাসেবী-সংগঠন যাচ্ছে তাদেরকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করছেন। প্রতিশ্রুতি যুব সংঘের উদ্যেগে এরই মধ্যে আর্থিক ফান্ড গঠন করা হচ্ছে, ২/১ দিনের মধ্যে-বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে মর্মে অবহিত করা হয়। লক্ষ্মীপুর জেলা: বি.কে.বি ক্লাব লক্ষ্মীপুর জেলা এর পক্ষ থেকে পানিবন্দি ও আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষের মাঝে মুড়ি ও চিড়া সামগ্রি বিতরণ করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর জেলা যুব উন্নয়নের নিবন্ধনকৃত যুব সংগঠন তারুণ্যের আলো যুব সংঘ এর সদস্যরা এরই মধ্যেই আটকে পড়া মানুষদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার জন্য উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং পাশাপাশি শুকনো খাবার, পানি, জরুরি ঔষধ বিতরণ এবং জরুরি স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের কাজও করে যাচ্ছে। খাগড়াছড়ি জেলা: খাগড়াছড়ি জেলার নিম্নে বর্ণিত যুব সংগঠনগুলো বন্যার্তদের সাহায্য করে যাচ্ছে: ১.বন্ধু কল্যাণ যুব সমবায় সমিতি ২. রিঝাঙ যুব সংঘ ক্লাব ৩. এগত্তর যুব স্পোর্টিং ক্লাব ৪. মোল্লা বাজার যুব শাপলা সঙ্ঘ ৫. মিলেনিয়াম যুব স্পোর্টিং ক্লাব ৬. এগত্তর যুব ক্লাব ৭. যুব বন্ধু ক্লাব ৮. দি হিউম্যান যুব ক্লাব ৯.মানিকছড়ি যুব ব্লাড ডোনার্স ক্লাব। কক্সবাজার জেলা: কক্সবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতি লাভ করছে। বৃষ্টির পানি সরে গিয়েছে। তবু দরিদ্র বন্যার্তদের মধ্যে যুব সংগঠনসমূহ, (যেমন- সাইমুন সংসদ, ইয়ুথ কমিউনিটি অ্যাওয়ারনেস, চকরিয়া যুব পরিষদ, অগ্রযাত্রা ইত্যাদি) বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডসহ ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। সাইমুন সংসদ গতকাল দুর্গত ১০টি পরিবারকে ২০০০/- হাজার টাকা করে ২০,০০০/- বিশ হাজার টাকা (নগদ অর্থ) দিয়েছে। এলাকার নাম পশ্চিম মুহরী পাড়া, সদর, কক্সবাজার। চকরিয়া যুব পরিষদের সভাপতি তানজিনুল ইসলাম, চকরিয়া, কক্সবাজার জানিয়েছেন যে, তার নেতৃত্বে চকরিয়ার অনেকগুলো যুব সংগঠন মিলে আগামীকাল থেকে ২ লক্ষ টাকার ত্রাণসামগ্রি কুমিল্লা ও ফেনীর বন্যা দুর্গতদের মধ্যে বিতরণের জন্য পাঠাচ্ছে। কক্সবাজার বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি এখন বেশ ভালো। দ্রুত পানি সমূদ্রে সরে পড়েছে। মৌলভীবাজার জেলা: মৌলভীবাজার জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলা অকস্মাৎ বন্যা কবলিত হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলার তালিকাভুক্ত/ নিবন্ধিত যুব সঙ্গঠনের উদ্যোগে বন্যা দুর্গত এলাকায় উদ্ধার অভিযান, শুকনো খাবার বিতরণ ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত আছে। সদর উপজেলায় সাতরং যুবসংগঠন ও কুলাউড়া উপজেলায় হাকালুকি যুব সাহিত্য পরিষদ এর উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। সব পর্যায়ের কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের মহাপরিচালক মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ২২ আগস্ট ২০২৪ তারিখের জুম সভার নির্দেশনা মোতাবেক প্রত্যেক উপজেলায় তালিকাভুক্ত /নিবন্ধিত যুব সংগঠন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের উপকারভোগীদের সমন্বয়ে বন্যা দুর্গতদের সাহায্যার্থে উদ্ধার টিম গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বগুড়া জেলা: বাংলাদেশে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে উপদেষ্টা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্তের আলোকে উদ্বুদ্ধ হয়ে বগুড়া জেলার যুব সংগঠক ও যুব উদ্যোক্তাগণ এরই মধ্যে বন্যা দুর্গত মানুষদের সহযোগিতা করবার লক্ষ্যে ২.০০ লক্ষ টাকা সহায়তা জোগাড় করেছে। দ্রুততম সময়ে তারা দুর্গত মানুষের পাশে গিয়ে পৌঁছতে পারবে। বগুড়া যুব পরিবারের পক্ষ থেকে উপদেষ্টা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে তাদের সহায়তা কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন। সিলেট জেলা: সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা যুব অফিসে বন্যার পানি ঢুকেছে। মালামাল নিরাপদ রাখার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অন্য ২টি উপজেলা কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এর গতকাল এর নির্দেশনা অনুযায়ী যুব সংগঠনসমূহকে সম্পৃক্ত করে ‘সিলেট জেলা যুব ত্রাণ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। অন্যান্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। হবিগঞ্জ জেলা: মহাপরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক হবিগঞ্জ জেলার সব উপজেলার যুব সংগঠনকে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত হবিগঞ্জ জেলায় বন্যায় প্লাবিত হয় নাই। জেলার সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এক দিনের বেতন বন্যা ত্রাণ তহবিলে জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কুড়িগ্রাম জেলা: এখন পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক। জেলা কার্যালয় ও উপজেলা কার্যালয়সহ কুড়িগাম জেলার নিবন্ধিত সব যুব সংগঠন এ ব্যাপারে সতর্ক আছে। গতকাল মহাপরিচালক মহোদয় ভার্চুয়ালি সভায় বিস্তারিত নির্দেশনা প্রদান করেছেন। সবাই সদা তৎপর আছেন। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে নিবন্ধিত কুড়িগ্রাম যুব ফোরামের সভাপতি আ. রশিদ এর নেতৃত্বে বন্যার্তদের সহযোগিতায় প্রদানে প্রস্তুতি নিয়েছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত