ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জামায়াত নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার হচ্ছে আজ

জামায়াত নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার হচ্ছে আজ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল তা আজ মঙ্গলবার প্রত্যাহার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। গতকাল সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

জামায়াতে ইসলামীর এ আইনজীবী বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আজ যেহেতু সরকারি ছুটি, সেজন্য কাল (মঙ্গলবার) এ নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে বলে আশা রাখছি।

শিশির মনির বলেন, কেন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হলো সেটা আমরা জানি না। মনে করছি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ ফ্যাসিবাদি এই সরকারের বিরুদ্ধে দেশের ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছে। যেখানে জামায়াতে ইসলামীও সহযোগী শক্তি হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ক্ষেত্রে দলটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহারের পরই দলটির নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল বিভাগে মামলা পুনরুজ্জীবিত করার পদক্ষেপ নেয়া হবে। গত ১ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী, ছাত্রশিবির ও সংশ্লিষ্ট সব অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয় যেহেতু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত কয়েকটি মামলার রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (পূর্বনাম জামায়াত-ই-ইসলামী/জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ) এবং উহার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে (পূর্ব নাম ইসলামী ছাত্রসংঘ) ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী হিসাবে গণ্য করা হইয়াছে; এবং যেহেতু, বাংলাদেশের সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে রাজনৈতিক দল হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বাতিল করিয়া দিয়াছে এবং বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগের উক্ত রায়কে বহাল রাখিয়াছে; এবং যেহেতু, সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রহিয়াছে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে জড়িত ছিল; এবং যেহেতু, সরকার বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সব অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সহিত জড়িত রহিয়াছে; সেহেতু, সরকার, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সব অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল এবং উক্ত আইনের তপশিল-২ এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সব অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসাবে তালিকাভুক্ত করিল। এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত