ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সেনা-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা

৩৮৮ আনসার কারাগারে

৩৮৮ আনসার কারাগারে

চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় অবরুদ্ধ করে সেনাসদস্য ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার ৩৮৮ আনসার সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রাজধানীর রমনা, শাহবাগ, পল্টন ও বিমানবন্দর থানার পৃথক চার মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। গতকাল আনসার সদস্যদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেন ৩৮৮ আনসার সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে জানা গেছে, এদিন শাহবাগ থানার মামলায় গ্রেপ্তার ১৮৯ জন, রমনা থানার মামলায় ৯৮ জন, পল্টন থানার মামলায় ৯৫ জন ও বিমানবন্দর থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো ৬ জন আনসার সদস্যকে আদালতে আনা হয়। এ চার থানার মামলায় অন্তত ৪২৬ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও অন্তত তিন-হাজার অজ্ঞাতনামা আনসার সদস্যদের আসামি করা হয়েছে। এসব মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত রোববার রাত ৯টার দিকে বাংলাদেশ সচিবালয়ের সামনে সাধারণ আনসার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় কিছু আনসার সদস্য পল্টন মডেল থানাধীন জিরো পয়েন্ট এলাকায় রাজপথ অবরোধ করে রাখে। পুলিশ তাদের ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুরোধ অমান্য করে রাস্তা অবরোধের মাধ্যমে যান চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ অন্যান্য উপদেষ্টা তাদের দাবি-দাওয়ার প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়ে দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাধারণ আনসারদের পক্ষে কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে তাৎক্ষণিক বৈঠক করেন এবং আংশিক দাবি পূরণ করেন। এছাড়াও অন্যান্য যৌক্তিক দাবি একটি কমিটি গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নে আশ্বাস দেন। কিন্তু সাধারণ আনসাররা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান তথা বাংলাদেশ সচিবালয়ের চারপাশে অবস্থান করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ অন্যান্য কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং জিরো পয়েন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবরোধ করে দাবি দাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান করবে মর্মে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ সচিবালয় রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান তথা কেপিআই জানা সত্ত্বেও আনসার সদস্যরা কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে অবস্থান করতে থাকে। একপর্যায়ে রাত্র ৯টা ৩০ মিনিটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা ঘটনাস্থলে আসলে তারা ছাত্রদের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে অসংখ্য পথচারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী গুরুতর আহত হন। আনসার সদস্যরা রাস্তার ওপর আগুন ধরিয়ে দেয় এবং রাস্তায় চলাচলরত বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা, অগ্নিসংযোগ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে গাড়ি ভাঙচুর করে। মামলাগুলোয় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইনের ১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/১৮৬/ ৩২৩/৩২৫/৩৫৩/৪২৭/৪৩৫/৪৩৬/১০৯/১১৪/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত