আমার সহকর্মী বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ; বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেল; সুপ্রিমকোর্ট বারের বিজ্ঞ সভাপতি; বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সম্মানিত ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন সভাপতিবৃন্দ; সুপ্রিমকোর্ট বারের বিজ্ঞ সিনিয়র ও জুনিয়র আইনজীবীবৃন্দ; প্রিন্ট ইলেকট্রনিক ও ডিজিটাল মিডিয়ার সম্মানিত সাংবাদিকরা এবং উপস্থিত ভদ্রমহিলা ও মহোদয়গণ- আসসালামু আলাইকুম। শুভ সকাল।
সর্বপ্রথমে আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি সুমহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি।
বক্তব্যের শুরুতেই আমি কৃতজ্ঞতা ও গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি গণজাগরণে আত্মদানকারী প্রত্যেক শহীদের স্মৃতির প্রতি। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। ছাত্র-জনতার এই অভ্যুত্থানের সময় অসংখ্য শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের অনেকেই এখনো চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। আমি তাদের সবার দ্রুত নিরাময় ও সুস্থতা করছি।
আমি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করছি শহীদ আবু সায়ীদ, মীর মাহবুবুর রহমান মুগ্ধ, মো. ওয়ামিস আকরামসহ আরো অসংখ্য শহীদদের।
তাদের সঙ্গে আমি আরো স্মরণ করছি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সব মুক্তিযোদ্ধা ও সম্ভ্রম হারানো মা-বোনকে। আমি অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি সব মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি। তাদের অশেষ আত্মত্যাগের কারণে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলাম।
আজ এই মহতী ক্ষণে আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি আমার পিতা ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদকে। আমার বিনম্র কৃতজ্ঞতা আমার স্নেহময়ী মা ভাষাসৈনিক ড. সুফিয়া আহ্মেদের প্রতি।
এই মাহেন্দ্রক্ষণে আমি আরো স্মরণ করি আমার নানা বিচারপতি ইব্রাহীমকে। স্বাধীনতার পূর্বে তিনি এই আদালতে বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বপালন করে গেছেন।
আজকের এই মহতী মুহূর্তে আমি সারা দেশের সব স্তরের ছাত্র-জনতাণ্ডশিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি আরো অভিনন্দন জানাই দেশের সব স্তরের জনগণকে যারা শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন প্রদান করেছেন।
সুপ্রিয় উপস্থিতবৃন্দ,
বাংলার প্রকৃতি ও সংস্কৃতির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে সেটি হলো আমাদের সামষ্টিক ন্যায়বোধের চেতনা। আমাদের জাতিগত সামষ্টিক চেতনার মধ্যেই এই ন্যায়বোধ বিদ্যমান রয়েছে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এরকম ন্যায়বোধের চেতনা না থাকলে ভাষা, সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের মর্যাদার সুরক্ষার জন্য আমাদের পূর্বপুরুষগণ ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনে ও ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে জীবন উৎসর্গ করতে পারতেন না। ঠিক এই সামষ্টিক ন্যায়বোধের কারণেই আমরা শাসন, শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিরতিহীন সংগ্রাম করেছি এবং অবশেষে লাখ লাখ প্রাণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করেছি কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।
বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘ ইতিহাসের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে বোঝা যায় ইতিহাসের যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে আমাদের পূর্বপুরুষগণ সবসময় ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অধিকারের সুরক্ষার জন্য নিরন্তর সংগ্রাম করে গেছেন। সেসব ধারাবাহিক লড়াই সংগ্রামের সর্ব-সাম্প্রতিক সংগ্রামটি হলো ২০২৪ সালে সংঘটিত আমাদের এই গণঅভ্যুত্থানে। এক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় যে, আমাদের বীর ছাত্র-জনতা ইতিহাসের এক মহাক্রান্তিকালের অনিবার্য আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে এক মহা-জাগরণের উন্মেষ ঘটিয়েছেন।
সীমাহীন আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে সফলবিপ্লবের দ্বারা অর্জিত একটি নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থার যুগ-সন্ধিক্ষণে আপনারা আমাকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব অর্পণ করেছেন।
এজন্য আমি আপনাদের প্রদত্ত এই গুরুদায়িত্ব কৃতজ্ঞতার সঙ্গে মাথা পেতে নিলাম। বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণের যে সুবিশাল বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব ছাত্র-জনতার বিপ্লবের ফলে আমার কাঁধে অর্পিত হয়েছে সেই দায়িত্ব আমি সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে সচেষ্ট হবো। আমি অবগত আছি যে, আপনাদের প্রত্যাশা অনেক, কিন্তু আমার হাতে সময় খুবই কম। তারপরও গণঅভ্যুত্থান-উত্তর সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, অধিকারের সুরক্ষা ও সুবিচারের সংস্কৃতির সুপ্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করণীয় আমি তার সবকিছু করার জন্য অক্লান্ত চেষ্টা করে যাব।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ,
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন ও এর ফলে সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানের কারণ বিষয়ে আপনারা সবাই অবগত আছেন। এই মুহূর্তে আমরা এক ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছি। বিগত বছরগুলোতে বিচার প্রক্রিয়ায়, আমাদের বিচারবোধ, ন্যায়বিচারের মূল্যবোধকে বিনষ্ট ও বিকৃত করা হয়েছে। সততার বদলে শঠতা, অধিকারের বদলে বঞ্চনা, বিচারের বদলে নিপীড়ন, আশ্রয়ের বদলে নির্যাতনকে স্বাভাবিক ব্যাপারে পরিণত করা হয়েছে। অথচ এরকম সমাজ ও রাষ্ট্র আমরা চাইনি। এই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েই আমাদের নতুন যাত্রা শুরু করতে হবে।
আমি উপরে যে মূল্যবোধের বিনাশ, বিকৃতি ও দূষণের কথা উল্লেখ করেছি সেগুলো আমাদের আবার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ অনেক বড়। আজ থেকে প্রতিটি শ্রেয়, শুভ ও কল্যাণকর কর্মে সবাই বিচার বিভাগকে আপনাদের পাশে পাবেন।
আমি সচেতন আছি যে, আমাকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্বভার দেয়া হয়েছে। সুপ্রিমকোর্ট ছাড়াও সারা দেশব্যাপী অবস্থিত ডিস্ট্রিক্ট জুডিসিয়ারি হলো বিচার বিভাগের সবচেয়ে বড় ও বিস্তৃত ক্ষেত্র। সাবঅর্ডিনেট জুডিসিয়ারিতে কর্মরত আমার বিচারক সহকর্মীরা আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। দেশের সাধারণ মানুষ বিচার বিভাগ বলতে মূলত ডিস্ট্রিক্ট জুডিসিয়ারিকে বোঝেন। ফলে, জুডিসিয়াল সার্ভিসে কর্মরত আমার সহকর্মীদের বলছি, আমি আপনাদের পাশে আছি। আপনারা কোনো ধরনের অন্যায় চাপ ও ভয়-ভীতির আশঙ্কা করবেন না। নির্ভয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে বিচারিক কাজ পরিচালনা করুন। আমরা সবাই অবগত আছি যে, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নের ভগ্নদশা থেকে বিচার বিভাগও মুক্ত নয়। কিন্তু ছাত্র-জনতার বিজয়ের এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এক সুবর্ণ সুযোগ আমাদের সামনে এনে দিয়েছে। আমরা যেন এই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারি সেদিকে আমাদের সর্বদা খেয়াল রাখতে হবে।
শিষ্ঠের লালন ও অন্যায়ের দমন হলো বিচার বিভাগের শাশ্বত দায়িত্ব। বিচারক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে যে কেউ অন্যায় কিংবা শিষ্ঠাচার লঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যে কেউ ভালো কাজ করলে তাকে পুরস্কৃত করা হবে। কিন্তু কোনো প্রকারের বিচ্যুতিকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না।
Ladies & Gentlemen,
It is a truism that a State should try so far as possible to govern through a coherent set of principles whose benefit it extends to all citizens. The judiciary’s role as an organ of the State is to declare the true and legal content of such principles. That, in my opinion, is the essence of rule of law and hence constitutionalism.
The objective is to provide a prognosis of constitutionalism in the years and decades ahead through a holistic consideration of the present state of the Constitution a living document permitting of perpetual reinvention. In this, much reliance is placed on the competence, authority and power of an independent judiciary to undertake the progressive interpretation of the Constitution. Indeed, this is key to the survival of the Constitution itself.
The ‘enthronement of the law’ (to borrow a phrase from Sir Thomas Bingham, Former Lord Chief Justice of England and Wales) clearly places the independent judicial function of interpreting and applying the law at the forefront of the separation of powers under the Bangladeshi constitutional regime. That in turn is the essence of the nation of rule of law as is readily discernible in the Bangladeshi context in the constitutional supremacy clause i.e. article 7 which declares the Constitution as the solemn expression of the will of the people. As a realist I believe that it would be a folly to treat such popular will to be static and not mutable. Accordingly, the spirit of the Constitution over and beyond merely the letter of the Constitution must stay abreast of such popular will. Failure to do so places constitutionalism itself at risk.
In my opinion, the primacy given to popular will lies latent in the very genesis of the Constitution as a social contract aiming for the establishment of a democratic society free from exploitation through limited government. In the annals of the liberal tradition of political thought this best corresponds to John Locke’s narrative of the relation between the ‘Sovereign State’ and the `Sovereign People’ in the context of the people being recognized as the legitimate source of the State’s powers. In that sense, a constitution as a compact is basically a license to a limited government upon express conditions attached marking, in Locke’s vision, the essential transitory device from a state of nature to that of regulated governance.
Such transition to limited government becomes necessary on account of inadequate regulation of guarantees to life, liberty, and property and the resultant conflicts arising in the state of nature. The device adopted to oversee this transition is a social compact to organize into an independent society that gives up certain facets of its autonomy to a civil association to govern in a manner that ideally best serves the governed. The citizenry organised in a civil-political society retains the power as final arbiter of the quality of governance and of resultantly ushering change in the instrument and mode of governance. In return for legislative and executive rights so relinquished by the citizenry, the social compact significantly makes the citizenry the repository of ‘sovereign power’ or capacity to determine the beneficial use of such rights. Such consent given, actively and directly, to establish a governmental structure leads to such consent being deemed to be expressed through the people’s representatives to govern as trustees as per the social compact.
Constitutionalism broken down into its core components of democratic governance, human rights, and rule of law presupposes too the existence of an independent judiciary. The concept of judicial independence is a complex one and the quest for attaining and maintaining such independence is equally daunting.
I would, therefore, be remiss if I, as a stakeholder in the judiciary, did not reflect here on the issue as has a bearing on the judiciary in the ultimate analysis remaining a functional and relevant, if not an indispensable, organ of the State.
The starting point here must, as the UN Basic Principles on the Independence of the Judiciary declare, be the ability and authority of the judiciary to-
‘decide matters... impartially, ... without any restrictions, improper influences, inducements, pressures, threats or interferences, direct or indirect, from any quarter or for any reason.’
The terms ‘influences’, ‘pressures’ and ‘interference’ as are so inextricably linked with the independent functioning of any judiciary are correlative to forces external to the judiciary and the extent to which they may bear on the discharge of judicial functions. These determine the extent to which the judiciary may act impartially free of bias, prejudice, fear and other extra-judicial compulsions and constraints. Indeed, the three organs of the State- the legislature, the executive, and the judiciary- in an ideal constitutional structuring are intended to operate as checks and balances on each other as governed by an overarching aim of ‘separation of powers’. That view entails the necessity for each branch or organ to discharge its functions ‘responsibly and (with) restraint’. Experience shows that such restraint is often elusive requiring concerted and deliberate efforts at regulating such separation. Indeed, that objective, as is the bedrock of a constitutional democracy founded on the rule of law, is best exemplified in our jurisdiction by article 22 of the Constitution as enjoins upon the State to ensure the separation of the judiciary from the executive organ of the State. Nowhere is that intent, however, better put to the test than in the mechanisms adopted for judicial appointments. In the Bangladeshi context, half-a-century into the adoption of the Constitution, we find ourselves still aspiring to putting together a full-proof system in that regard.
Well, to highlight yet another truism, institutional independence demands that the mode of appointment, regulation of tenure of service and the disciplining of judges be free of executive and legislative interference. This is complemented by the universally accepted standards of accountability which endorse ‘a Code of Ethics and Conduct’ devised and implemented by the judiciary to gauge accountability (for example, through establishment of ‘a credible, independent judicial ethics review committee’) and to enforce disciplinary measures through bodies or tribunals as are ‘independent and impartial.’ Here, the preferred mode of oversight and regulation is one of collegiate authority in the form of a judiciary council with majority representation from the judiciary. While lay representation on such bodies or councils- as are assigned independent and deliberative powers of appointments and discipline- remains almost universally recommended, the degree of political representation therein is either envisaged to be minimal or indeed emphatically reduced to none at all.
To this end, the Bangalore Principles of Judicial Conduct provide additional context to the UN Basic Principles on the Independence of the Judiciary in providing primary objectives for the judiciary, two of which are:
Provide a framework to judges and the judiciary for ethical judicial conduct; and ensure that judges remain accountable for their conduct to appropriate institutions as are themselves independent and impartial.
Indeed, within the Bangladesh Constitution, the elements of the rule of law are readily discernible in the supremacy of the Constitution ‘as the solemn expression of the will of the people’ (declared in article 7), as well as the separation of the judiciary from the executive (endorsed in article 22). These provisions clearly attest to an independent and autonomously functioning judiciary submitting only to the popular will reflected in the Constitution itself while sitting in judgment over legislative, executive and quasi-judicial actions, decisions and orders. The republican moorings of the Constitution are therefore undeniable as is its potential for aiding a better understanding of judicial independence and autonomy under our constitutional dispensation. All that is needed now is the harnessing of political and judicial will to translate that into reality through clearly formulated laws and regulations. Pending such action, we in our jurisdiction would, however, be unduly complacent and myopic in indefinitely nurturing a straitjacketed view of achieving and sustaining judicial independence and autonomy.
Jurisdictions around the world today are also readily adapting to altered realities, burgeoning expectations and self-realizations at serving not only as an organ of State but as a relevant one. To that end, visionaries continue to guide the strengthening of the judiciary by robustly renegotiating its relationships with the other competing organs and engaging more beneficially with its constitutional and natural constituency, the general public. The options are many and varied here and range from judges and judicial officers acting as innovators and technopreneurs devising justice delivery products within a system that prides itself on efficiency and cost-effectiveness to factoring in Ai in making sentencing recommendations.
২০০২ সালে সংবিধান দিবস উপলক্ষে লেখা একটি প্রবন্ধের উপসংহারে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের তৎকালীন সিনিয়র অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ তার একটি প্রবন্ধে একটি মন্তব্য করেছিলেন যা আজকের এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে আমি মনে করি। প্রবন্ধের সেই অংশটি আমি এখন পড়ে শুনাচ্ছি :
‘সব সংবিধানই একটি শাশ্বত ও জীবন্ত দলিল। স্বল্প পরিধির ভিতর রাষ্ট্রীয় শাসনের নীতি ও পদ্ধতি সন্নিবেশিত করা হয় এই দলিলে। সংবিধানের ব্যাখ্যার দায়িত্ব উচ্চতর আদালতের আর সেই ব্যাখ্যা যদি কাল ও সময়ের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম না হয় তাহলে সংবিধান হয়ে দাঁড়ায় এক dead letter যা জীবন্ত গাছ থেকে ঝরে পড়ে শুকনো পাতার মতো। তাই উচ্চতর আদালতে আসীন বিচারকদের প্রাথমিক ও মহান দায়িত্ব হলো অনাগত ভবিষ্যতের সমাজ ব্যবস্থার প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম, সংবিধানের এমন এক প্রগতিশীল ব্যাখ্যা দেয়া। এ দায়িত্ব পালন আমাদের মতো অনুন্নত দেশে Judicial Activism-এর মাধ্যমেই সম্ভব। সাংবিধানিক আইন ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। এই প্রক্রিয়া সাংবিধানিক ঘাত-প্রতিঘাতে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবর্তমানে ব্যাহত হয়েছে। কিন্তু গত ১০ বছর ধরে একটানা ভাবে সাংবিধানিক ব্যবস্থা কায়েম আছে। এই সময়কালে সাংবিধানিক আইন ও ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে আমাদের উচ্চতর আদালত কখনো কখনো বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করলেও Judicial Activism বা ‘Creativity-এর স্পষ্ট অথবা উৎকর্ষতার ধারাবাহিকতার অভাব অনুভব করা যায় বললে অত্যুক্তি হবে না। মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো রক্ষা এবং বলবৎ করার ক্ষেত্রে সর্বোপরি যারা দুর্বল, দরিদ্র এবং অসংগঠিত তাদের অধিকার রক্ষার জন্য বিচারের ক্ষেত্রে এবং সুষ্ঠু এবং প্রগতিশীল মনোভাব এবং চিন্তাধারায় উদ্বুদ্ধ বিচারকরা এই পথ ধরে অগ্রগামী হবেন এ আশা আমরা অবশ্যই করতে পারি। আর এই প্রক্রিয়ার একটি সুস্পষ্ট সূচনা হবে আমাদের জন্য একান্ত সময়োপযোগী এক বিরাট পদক্ষেপ।’
Ladies & Gentlemen,
We are living through a truly momentous time in the history of Bangladesh. Over the last few weeks we have seen the exercise of the will of the people which took the form of a revolution against injustice and oppression.
As I have been assigned the task of steering this revered institution in these tumultuous times, I am reminded of the opening lines of Charles Dickens epic A Tale of Two Cities providing a commentary on the French Revolution-
‘It was the best of times, it was the worst of times, it was the age of wisdom, it was the age of foolishness, it was the epoch of belief, it was the epoch of incredulity, it was the season of Light, it was the season of Darkness, it was the spring of hope, it was the winter of despair, we had everything before us, we had nothing before us, we were all going direct to Heaven, we were all going direct the other way.’
Let the forthcoming generations speak of these momentous times that we live in today as being the best of times, the age of wisdom, the epoch of belief, the season of Light, and the summer of our nation’s revival and renewal.
With that I wish this great nation of ours of all the best in carving out a future defined primarily by adherence to the rule of law.
Thank You.