আমৃত্যু রাজনীতি করার কথা জানালেন ড. কামাল

প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে দলীয় কোনো কর্মসূচিতে দেখা গেল গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে। বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি নিজের গড়া দলের অস্থিরতায় নিজেকে অনেকটা গুটিয়ে ফেলেছিলেন প্রবীণ এই আইনজীবী। অনেকদিন নীরব থাকলেও ফের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আমৃত্যু রাজনীতি করার কথা জানালেন। গতকাল বৃহস্পতিবার গণফোরামের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে কথা বলেন ড. কামাল।গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের মধ্য দিয়ে গণফোরাম নতুন করে যাত্রা শুরু করবে। গণফোরামের নেতাকর্মীরা ছাত্র-জনতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হবে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করবে।

গণফোরাম তার পরীক্ষিত মানুষের প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা নিজের এলাকায় পরীক্ষিত নেতা। আপনারা এখনো এই দলকে ধরে রেখেছেন। এটা আপনাদের প্রতিষ্ঠান, আমার প্রতিষ্ঠান না। আমার নেতৃত্ব বলা হয়, কিন্তু আমি এটা মনে করি না। এটা সবার যৌথ নেতৃত্ব। এ সময় ড. কামাল হোসেন জানান, তিনি আমৃত্যু এ রাজনীতি করে যেতে চান। তার মন্ত্রী হওয়ারও আকাঙ্ক্ষা নেই।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার এক নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। দেশের জনগণ স্বপ্ন দেখছে এক স্বাধীন ও বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশের। কোনো অশুভ শক্তি বা ষড়যন্ত্র যেন এই রক্তস্নাত বিজয় ও মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে। এ অর্জনকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

এই ইমেরিটাস সভাপতি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে বিগত সময়ে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণের ফলে প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছিল। এসব প্রতিষ্ঠান সংস্কার করতে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে তাদের যথাযথ সময় ও সার্বিক সহযোগিতা করা সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের নৈতিক দায়িত্ব। যাতে অভীষ্ট সংস্কার কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হন।

দ্রুততম সময়ে ঐক্যবদ্ধ গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে বলে আলোচনা সভায় জানানো হয়।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন, অ্যাডভোকেট এস এম আলতাফ হোসেন, জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ড. মো. মিজানুর রহমান। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মোস্তফা মহসীন মন্টু।