ঢাকা ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

৪৬ দিনে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করবে জাতিসংঘ

৪৬ দিনে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করবে জাতিসংঘ

জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে আগস্টের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ৪৬ দিনে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার ‘নিরপেক্ষ ও স্বাধীন’ তদন্ত করবে জাতিসংঘ। একইসঙ্গে কারা এর সঙ্গে জড়িত, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মূল কারণ কী, সেটিও খুঁজে বের করে ন্যায়বিচার ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা হবে। দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের বিষয়েও সুপারিশ করবে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার টুর্কের কাছে চিঠি দেয়া হলে তারা এই উত্তর দিয়েছে।

জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তারা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল বাংলাদেশে পাঠাবে। অন্তর্বর্তী সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী তাদের পূর্ণ সহায়তা দেবে বলে এরই মধ্যে জানানো হয়েছে। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল আসার আগে আগস্ট ২২ থেকে ২৯ পর্যন্ত একটি অগ্রগামী দল বাংলাদেশ সফর করেছে। তারা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র, উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, পুলিশ ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আন্দোলন চলাকালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত কীভাবে করা হবে সেটি নিয়ে বিস্তারিত আলাপ করেছে অগ্রগামী দলটি। একইসঙ্গে সুশীল সমাজের জন্য ন্যায়বিচার, ক্ষতিপূরণসহ অন্যান্য মানবাধিকার বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছে।

গুম সংক্রান্ত কনভেনশনে পক্ষ হওয়ার জন্য এবং বাংলাদেশে এর আগে সংঘটিত গুম বিষয়ে তদন্ত করার জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি তৈরি করাকে স্বাগত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গুম বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বেদনাদায়ক অধ্যায় এবং এ বিষয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের অফিস সরব ভূমিকা পালন করেছে। এ বিষয়ে সব রকম সহায়তা দেওয়ার জন্য মানবাধিকার হাইকমিশনারের অফিস তৈরি আছে। উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে আসবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তিনি ঢাকা আসতে পারেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত