আজ ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের এক মাস পূর্তি হচ্ছে আজ। এক মাস পূর্তি উপলক্ষে সারা দেশে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

কেন্দ্রীয়ভাবে আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় ‘শহীদি মার্চ’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, মানিক মিয়া এভিনিউ, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হবে। গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। এ সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ, আবু বাকের মজুদারসহ অন্য সমন্বয়করাও উপস্থিত রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার পুরো বাংলাদেশে আবারো শহীদ ও আহত ভাইদের স্মরণে, তাদের স্মৃতি ধারণ করে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে এই কর্মসূচি পালিত হবে। সেখানে আহত এবং শহীদদের অভিভাবকদেরও অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমরা মনে করছি, যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের স্মরণের সময় এসেছে। সেজন্য বৃহস্পতিবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে শহীদি মার্চ করব। আমি প্রত্যেক শহীদের পরিবারকে এতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা চাই সারাদেশ উত্তাল হোক।

ছাত্রনেতারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, কেউ চাঁদাবাজি, নির্যাতন বা অসদাচরণসহ যে কোনো বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক আবু বকের মজুমদার বলেন, ছাত্র আন্দোলনের চেতনাকে কেউ কলঙ্কিত করার চেষ্টা করলে তাদের হস্তান্তর করার আহ্বান জানাচ্ছি। আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের ওপর গুলি চালানোর জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করতে একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি গঠনেরও ঘোষণা দেন তিনি। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ১৬ আগস্ট সেই আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেয়। সেদিন রংপুরে আবু সাঈদসহ ছয়জন মারা যান। পরের কয়েক দিনের আন্দোলনে পুলিশের গুলি এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় শত শত মানুষ নিহত হন। মাঝে ইন্টারনেট বন্ধ এবং কারফিউ জারি করে আন্দোলন কিছুটা স্থিমিত করলেও আগস্টের শুরুতে তা আবার ভয়াবহ রূপ নেয়। অবশেষে ৫ আগস্ট আন্দোলনের চাপে বাধ্য হয়ে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। এই আন্দোলনে হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন, যাদের একটি বড় অংশ ছাত্র।