ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সীমান্ত হত্যা বন্ধের ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেয়া হয়েছে

বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সীমান্ত হত্যা বন্ধের ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেয়া হয়েছে

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ভবিষ্যতে যেন সীমান্ত হত্যার ঘটনা না ঘটে, সেই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেয়া হয়েছে। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা জানান।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা নিয়ে এখানে একটু আলোচনা হয়েছে। এজন্য এখানে আমি শুধু বলব, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে, এই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ করেছি। আশা করব, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না। আপনাদের (সাংবাদিক) কাছেও অনুরোধ করব, ভবিষ্যতে যেন এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, আপনারাও আমাকে সাহায্য-সহযোগিতা করবেন।’ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পূজার সময় আরেকটি সমস্যা দেখা দেয়।

যেহেতু আমাদের লোক যাওয়া-আসা করে, এপারের লোক ওপারে পূজা দেখতে যায়, ওপারের লোক এপারে পূজা দেখতে আসে। এজন্য এখানে সবাইকে আমি অনুরোধ করেছি, এবার যেন আপনারা বর্ডার বেল্টে (সীমান্ত এলাকায়) ভালো ভালো পূজামণ্ডপ করেন, যেন আমাদের লোক ওপারে না যায় পূজা দেখার জন্য। আর ওপারের লোকও যেন এপারে না আসে, এটার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।’ এবারের সম্ভাব্য পূজামণ্ডপের তথ্যও তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যা পেয়েছেন তাতে এবার সারা দেশে পূজামণ্ডপ হবে ৩২ হাজার ৬৬৬টি। তবে এই সংখ্যাটি আরো বাড়বে বলে জানান তিনি। গতবার পূজামণ্ডপ ছিল ৩৩ হাজার ৪৩১টি। পূজামণ্ডপ নির্মাণের সময় থেকে নিরাপত্তাব্যবস্থা শুরু হবে বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, এবারের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগটি একটু ভিন্ন হবে। দেশের যে কোনো নাগরিকদের মধ্য থেকে নিয়োগ করা হবে। এই স্বেচ্ছাসেবককে সময়ভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হবে। যেমন কাউকে রাত একটা থেকে তিনটা পর্যন্ত। এই স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা রাতে কমপক্ষে তিনজন এবং দিনে কমপক্ষে দুজন হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, সভায় আলাপ হয়েছে (পূজার সময়) আজান ও নামাজের সময় যেন বাদ্যযন্ত্র ও মাইকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ রাখা হয়। আজানের কমপক্ষে পাঁচ মিনিট আগে এ ধরনের বাদ্যযন্ত্র ও মাইকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত তা বন্ধ রাখতে হবে। এ বিষয়ে আজকের বৈঠকে উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরাও একমত হয়েছেন বলে জানান উপদেষ্টা। এবারের পূজা নির্বিঘ্নে হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এসময় আরো বক্তব্য দেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত