ঢাকা ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপড়েন

প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সুসম্পর্ক চাই : ড. ইউনূস
বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপড়েন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। কারণ শেখ হাসিনা মনে করেন তার কাছে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ আশ্রয়স্থল হচ্ছে ভারত। তবে স্বৈরশাসক হিসেবে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে ভারত। অন্যদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে পাকিস্তান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত ও পাকিস্তানের সমীকরণে বাংলাদেশের অবস্থা স্পষ্ট বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন সরকার প্রধান টেলিফোনে এবং শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। যে সমস্ত সরকার প্রধানের সঙ্গে আমার টেলিফোনে যোগাযোগ হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। বিভিন্ন দেশের রাষ্টদূত এবং হাইকমিশনার আমার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা ভারত এবং অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই। তবে সেই সম্পর্ক হতে হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে। ভারতের সঙ্গে এরই মধ্যে বন্যা মোকাবিলায় দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করেছি। দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমি সার্ক রাষ্ট্রগোষ্ঠীর পুনজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চাই আমাদের দেশ জানি একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে সম্মানের সাথে পরিচিত হয়। দেশের পরিকল্পনা যেন দেশের মানুষ কেন্দ্রিক হয়, কোনো নেতা বা দল কেন্দ্রিক না হয়। আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব এসেছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের ১ মাস পেরিয়ে গেছে। এখনও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের টানাপড়েন কমেনি। উল্টো বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। ভারতের উজানের ঢালে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতের বর্ডার গার্ড বাহিনী বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক নিহতের ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে গত ২৭ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের স্তিমিত হয়ে পড়া সব খাতের উন্নতি চায়। অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সৈয়দ আহমেদ মারুফ। অনেক দিন ধরে বিভিন্ন কারণে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। পাকিস্তান এখন আবার বাণিজ্য শুরু করতে আগ্রহী।

গত ২ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের কাছে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে টানাপড়েন কমাতে দুই দেশকে কাজ করতে হবে। কোন এক পর্যায়ে বা কোন এক কারণে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপড়েন ছিল। সেটা স্বাভাবিক পর্যায়ে সম্পর্কের উন্নতি হলে সবার খুশি হওয়া উচিত। আমরা তো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। পাকিস্তানের সঙ্গে এখন শত্রুতা করে কোন ফায়দা নেই।

উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের সময় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক সরকার বা দলের ও ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। আমরা চাই জনসাধারণের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠুক। দুদেশের মানুষের মাঝে এই বিশ্বাস তৈরি হোক যে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুব ভালো আছে। দেশে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পরে ভারতীয় গণমাধ্যম অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রচার করেছে, সেজন্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম যারা বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশ করে, তারা এই দৃষ্টিভঙ্গি (ভারতীয় গণমাধ্যমের) গ্রহণ করেনি, জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও গতিশীল সম্পর্ক চাই। আমি মনে করি কোনও এক পর্যায়ে কোনো এক কারণে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে একটু টানাপড়েন ছিল। এখন স্বাভাবিক একটা সম্পর্কে যদি উন্নীত হয়, আমাদের সবার খুশি হওয়া উচিত।

কূটনৈতিকরা বলছেন, ভারতের আস্থাভাজান দল আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিষয়সহ বিভিন্ন খাতে সহজেই হস্তক্ষেপ করেছিল ভারত। কিন্তু বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থাকায় সেই সুযোগ পাবে না ভারত। যার কারণে ভারত সবসময় বাংলাদেশের যেকোন ইস্যু নিয়ে সচেতন থাকবে। তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক না রেখে এক রাষ্ট্র আরেক রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাই ভালো। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক না রেখে, ব্যক্তি শেখ হাসিনাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। যার কারণে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের পর পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের টানাপড়েন চলছে। জনগণকেন্দ্রিক সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কোন্নয়নে এগিয়ে এলে ভারত চলমান হতাশা থেকে দ্রুত মুক্ত হতে পারবে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গত ৩০ আগস্ট দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক এক বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের সময় মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটেছে, এটা স্বীকার করে নিতে হবে। আর রাজনৈতিক পরিবর্তনে সম্পর্ক বিঘ্নিত হতে পারে। কিন্তু সরকারে যে থাকবে, তাদের সঙ্গেই সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে। ভারত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ভারতকে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ স্বার্থে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে যে সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, ভারত তার সঙ্গেই কাজ চালিয়ে যাবে।

স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেয়ায় বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। কারণ এরই মধ্যে শেখ হাসিনার কূটনৈতিক লাল পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। সেখানে শেখ হাসিনা কীভাবে আশ্রয় পাচ্ছেন, তা নিয়েও ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। সেই হত্যাকাণ্ডের জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালতে শতাধিক মামলা হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ডের দায়ে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও জোরদার হয়ে উঠেছে বাংলাদেশে। তবে গত ১৪ আগস্ট ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে পররাষ্ট্র উদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের রাজধানীতে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব বিবৃতি দিচ্ছেন, তা দুই নিকটপ্রতিবেশী দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেও অন্তরায়। এটা কোনোভাবেই দুই দেশের সম্পর্কেও জন্য সহায়ক নয়।

কূটনীতিকদের দৃষ্টিতে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গভীর না হওয়ার অন্যতম একটি কারণ সীমান্তে হত্যা। গত সোমবার ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কান্তিভিটা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ১৪ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছেন। নিহত কিশোরের নাম জয়ন্ত কুমার সিং। এর আগেও বিএসএফের গুলিতে সীমান্তবর্তী এলাকায় মানুষ মারা গেছে। বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, নিহত জয়ন্ত কুমার সিংয়ের বাবা ফকিরভিটা বেলপুকুরের মহাদেব কুমার সিং এবং একই উপজেলার নিটোলডোবা গ্রামের মো. দরবার আলীও (৫০) বিএসএফের গুলিতে আহত হয়েছেন। স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, গত সোমবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে কাঁটাতারের বেড়া কেটে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় একদল লোকের ওপর গুলি চালায় ডিঙ্গাপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা। এতে ঘটনাস্থলেই জয়ন্ত নিহত হয় এবং অপর দুজন গুলিবিদ্ধ হন। সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক এম হুমায়ুন কবির বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের মতো কোন ঘটনা না। বাংলাদেশে একটা অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে। তারা (ভারত) এই পরিবর্তনের বাস্তবতা যতো দ্রুত উপলব্ধি করবেন, আমি মনে করি ততই সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবে চলবার সুযোগ তৈরি হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভারতের টানাপড়েন চললেও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতিতে পাকিস্তান উচ্চপর্যায়ে বৈঠক করেছে। পাকিস্তান একটি রোডম্যাপও তৈরি করেছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ থেকে শুরু করে দায়িত্বশীল কূটনীতিকদের তৎপরতা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাংলাদেশে ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে ভারতের সঙ্গে সু-সম্পর্ক রাখলেও পাকিস্তানের সঙ্গে বরাবরই নেতিবাচক সম্পর্ক রেখেছে। ভারতকে খুশি রাখতেই শেখ হাসিনা পরিকল্পিতভাবে এটা করেছেন। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পরদিনই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

গত ২ সেপ্টম্বও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশে দায়িত্বপালন করা সাবেক কূটনীতিকরাও অংশ নিয়েছিল। এছাড়া বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে এর মধ্যেই রোডম্যাপ ও কৌশলপত্র প্রস্তুত করেছে পাকিস্তান। হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কে নানা টানাপড়েন ছিল। যদিও ইসলামাবাদ বারবারই ঢাকার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করেছে, কিন্তু হাসিনা সেই প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছেন। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা নেতা শেখ মুজিবের কন্যা ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং তিনি প্রায়ই পাকিস্তানের নানা বিষয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে পরামর্শও করতেন। অবশ্য হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি ভারতের জন্য গুরুতর ধাক্কা হলেও এটি পাকিস্তানের জন্য বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের উন্নয়নের একটি বড় সুযোগ। আর সম্পর্কের সেই উত্তরণ ঘটানোর জন্য অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিকরা পাকিস্তান সরকারের কাছে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিকরা আরও প্রস্তাব করেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ভারতের দৃষ্টিতে দেখা উচিত হবে না পাকিস্তানের। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের ধরন যেমনই হোক না কেন, পাকিস্তানকে অবশ্যই তার নিজস্ব পথ ও কৌশল অনুসরণ করতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত