বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে আনতে খোঁজা হচ্ছে আইসিইউ ও সিসিইউ সুবিধাসহ চার্টার্ড এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। সাধারণ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে দীর্ঘ ভ্রমণ করিয়ে লন্ডনে আনার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তার চিকিৎসকরা। গতকাল বুধবার বিকাল পাঁচটার পর দেশের বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে আপাতত বাসায় নেয়া হয়েছে। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের কাছে লিভার ট্রান্সপ্লান্টের জন্য তাকে দেশের বাইরে নেয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। এদিকে বারবার হাসপাতালে আনলে হাসপাতাল থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে বলে হাসপাতালে আনার ক্ষেত্রেও ভয়ে থাকেন তার চিকিৎসকরা। এ কারণে বহু সাক্ষাৎপ্রার্থী চাইলেও হাসপাতালে দেখা পাচ্ছেন না বেগম জিয়ার। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের বউ শর্মিলা রহমান সিথি এ মুহূর্তে দেশে থেকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দেখভাল করছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আসেন। লন্ডনের মরফিল্ড হাসপাতালে তার চোখের অপারেশন হয়। তিনি সেখানে হাঁটুর চিকিৎসাও নিয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাতে বেগম জিয়াকে হাসপাতালে দেখতে যান নব্বই দশকের গণআন্দোলনের নেতা, ডাকসুর সাবেক সিনেট সদস্য নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ। জুনায়েদ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ইউকে’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এবং এলএস সিআইটি ইউকের চেয়ারম্যান।
গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদককে বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা স্বীকার করলেও বেগম জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি যুক্তরাজ্য প্রবাসী এই নেতা। তিনি বলেন, আমি আমার নির্বাচনি এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবং আমাদের ম্যাডামকে একনজর দেখার জন্যই দেশে এসেছি।