হাসিনা লুকিয়ে থেকে তার প্রেতাত্মাদের উসকে দিচ্ছে

জামায়াত সেক্রেটারি

প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রাজশাহী ব্যুরো

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, গণবিপ্লবে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসক হাসিনা নিজে লুকিয়ে থেকে তার প্রেতাত্মাদের উসকে দিয়ে জনমনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মহানগরীর সদস্য (রুকন) সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশপ্রেমিক জনগণের সামনে, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সামনে, দেশপ্রেমিক প্রশাসনের সামনে ও দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতার সামনে এই ধরনের অরাজকতা মোকাবিলা করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ শক্ত হাতে দমন করে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’ মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘কোনো চক্রান্ত, কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো গুজবে কান না দিয়ে নতুন এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল অংশগ্রহণমূলক ভালো কাজে আমরা আছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আবেদন করেছি, আমরা দেখতে পাচ্ছি সচিবালয় থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্বৈরাচারী শাসকের দালালরা ঘাপটি মেরে বসে আছে। তারা আমাদের কথা শোনে না, জনগণের কথা শোনে না, তাদের সাথে কথা বললেই বোঝা যায় তাদের ফ্যাসিবাদের ওপর অনেক মায়া। তিনি আরো বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ফ্যাসিবাদীদের দালালদের সরাতে যতরকম সাহায্য, সহযোগিতা প্রয়োজন সকল সহযোগিতা আমাদের পক্ষ থেকে করা হবে। ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় থেকে চক্রান্তের মাধ্যমে দেশ গঠনের প্রতিষ্ঠাকে ব্যর্থ করতে পারে। তারা যাতে দেশ গঠনের নতুন প্রচেষ্টাকে কোনোভাবেই বিনষ্ট করতে না পারে, সেদিকে নজর রাখতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে।

অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা মনে করব, তারা পুরোদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী, জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী, নতুন বাংলাদেশ গড়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী।’ গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর মূলভিত্তি হচ্ছে রুকন। ‘রুকন’ শব্দের অর্থ স্তম্ভ বা খুঁটি, যা ভার বহন করতে সক্ষম কিছু বোঝায়। পবিত্র কোরআনে এই শব্দটি দুই স্থানে উল্লেখ রয়েছে, যা সাংগঠনিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, ‘রুকনরা সংগঠনের মূল চালিকাশক্তি এবং তারা বাইয়াতের কর্মী। তাদের মর্যাদা যেমন বিশিষ্ট, তেমনি তাদের দায়িত্বও অনেক। জামায়াতের কর্মীদের নিজেদের মধ্যে নেতৃত্বের দক্ষতা বিকাশ করতে হবে। ইসলামি আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদানের জন্য কোরআন, সুন্নাহ ও ইসলামি সাহিত্য অধ্যয়নের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্যতা বাড়াতে হবে।’ জামায়াতের রাজশাহী মহানগর আমির ড. মুহাম্মদ কেরামত আলীর সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, লেখক অনুবাদক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আলী আহমেদ মাবরুর, জামায়াতের রাজশাহী অঞ্চল পরিচালক অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিন, জামায়াতের মহানগরীর সেক্রেটারি ইমাজউদ্দিন মন্ডল প্রমুখ।