ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শিক্ষা-গণমাধ্যমসহ আরো কিছু সংস্কার কমিশনের পরিকল্পনা রয়েছে

বললেন তথ্যপ্রযুক্তি ও তথ্য উপদেষ্টা
শিক্ষা-গণমাধ্যমসহ আরো কিছু সংস্কার কমিশনের পরিকল্পনা রয়েছে

রাষ্ট্রীয় সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এরই মধ্যে আমাদের ৬টি সংস্কার কমিটি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কমিটির সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। অক্টোবর মাস থেকেই সংস্কারের কার্যক্রম শুরু হবে। শিক্ষা ও গণমাধ্যমসহ আরও কিছু সংস্কার কমিশনের পরিকল্পনা রয়েছে। কমিশনগুলো সংশ্লিষ্ট ও অভিজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রূপরেখা তৈরি করবে। তখন সব রাজনৈতিক ও সামাজিক পক্ষ মিলেই আমরা রূপরেখা অনুযায়ী সংস্কার কার্যক্রম শুরু করব। গতকাল শুক্রবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে বাঙ্গাখাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। পরে বন্যায় দুর্গতদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলি, নিহত ও মামলার ঘটনায় নাহিদ আরও বলেন, ফ্যাসিস্টদের বিচার এ বাংলার মাটিতেই হবে। সে যেই হোক না কেন। আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ ধীরে ধীরে ফিরে আসছে। সেনাবাহিনীকেও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, যেন কার্যক্রমগুলো দ্রুত হয়। সারাদেশে যে মামলাগুলো রয়েছে, এর মধ্যে অনেকগুলোই গ্রহণযোগ্য নয়। সেক্ষেত্রে আমাদের আহবান রয়েছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই যেন মামলাগুলো করা হয়। সেই মামলার ভিত্তিতেই যেন পুলিশসহ প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা ও জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়। নাহিদ বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বড় দুর্যোগ এসেছে আমাদের দেশে। আমরা দেখেছি, এ দুর্যোগে দেশের জনগণ সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে। ছাত্ররাসহ একত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জনগণ ও প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করেছে, তা অভূতপূর্ব। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এখন আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের কার্যক্রমের দিকেই যাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজটি এগিয়ে নিতে আমরা কাজ করছি। বন্যা নিয়ে তিনি আরো বলেন, পানি কমছে, মানুষজনও আশ্রয়ণ কেন্দ্র থেকে চলে যাচ্ছে। লক্ষ্মীপুরে পানি দেরিতে কমছে, কারণ এখানে খালগুলো দখল হয়ে গেছে শুনেছি। সেই খালগুলো যদি দখলমুক্ত করা যায়, তাহলে তা দীর্ঘমেয়াদি সুরাহা হবে। এখানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহ নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে বরাদ্দ পাঠানো হয়েছে। সে বরাদ্দ অনুযায়ী খুব শিগগিরই গৃহ নির্মাণ করা হবে। জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনের জন্য শিক্ষা-স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে এ জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য সরকার সার্বিকভাবে কাজ করবে। পুনর্বাসন নিয়ে পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে সার্বিক যে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা পূরণ করে আগের জায়গায় সে গতিতে ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার, জেলা পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভি দাশ ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত