কাল নিউইয়র্কে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস

প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ফারুক আলম

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে যোগ দিতে কাল নিউইয়র্কে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ৭৯তম অধিবেশনে অংশ নিয়ে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন তিনি। এবারের অধিবেশনে ড. ইউনূসের ভাষণ কিছুটা ভিন্নমাত্রা যোগ করবে। এজন্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু মানুষ ড. ইউনূসের ঐতিহাসিক ভাষণ শোনার জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের দিকে নজর রাখবেন বলে মনে করছেন কূটনীতিক বিশ্লেষকরা।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান, সেখানেই তিনি আশ্রয় নিয়েছেন। আর দেশের এমন উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে রাষ্ট্রপরিচালনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে বাংলাদেশে ৫ আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের দর্শন প্রতিফলিত হবে। বিশেষ করে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজেদের গর্বিত ও মর্যাদাশীল দেশের জনগণ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব পরিমণ্ডলে কীভাবে নিজেদের তুলে ধরবে, সেটিই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা। দেশের ভবিষ্যৎ আক্সক্ষার কথা উল্লেখ করে তিনি ভূরাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদাত্তভাবে আহ্বান জানাবেন।

খসড়া সূচি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপ্রাপ্তির ৫০ বছর উপলক্ষে মঙ্গলবার নিউইয়র্কে একটি সংবর্ধনার আয়োজন করছে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন। ওই অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেবেন। এর পাশাপাশি নিউইয়র্কে অবস্থানের সময় প্রধান উপদেষ্টা সামাজিক ব্যবসা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ব্যবসায়ী পরিষদের সভায় অংশ নেবেন। সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বিশ্বের কয়েকটি দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে। এই তালিকায় আছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহবাজ শরিফ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক শফ, বাহরাইনের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী সালমান বিন হামাদ বিন ইসা আল খলিফা, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন এবং বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা। পাশাপাশি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডিসহ জাতিসংঘের কয়েকটি সংস্থার প্রধানরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, জাতিসংঘের সাধারণত অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে নিউইয়র্ক পৌঁছাবেন। এ বছরের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এ বছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বাংলাদেশ একটি উচ্চণ্ডপর্যায়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।

পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি দলের প্রধানদের পাশাপাশি জাতিসংঘের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা, কিছু সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান, বিভিন্ন সংস্থা প্রধান অংশগ্রহণ করবেন বলে আমরা আশা করছি।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ২৭ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্ক পর্বে বক্তব্য রাখবেন। তিনি তার বক্তব্যে বিগত দুই মাসে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অভাবনীয় গণ-অভ্যুত্থানের বিবরণ এবং আগামী দিনে জনভিত্তিক, কল্যাণমুখী ও জনস্বার্থে নিবেদিত একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় বিশ্বদরবারে তুলে ধরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ অবস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, বিশ্বব্যাপী সংঘাত, রোহিঙ্গা সংকট, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিকূলতা, উন্নয়নশীল দেশসমূহ থেকে সম্পদ পাচার প্রতিরোধ, নিরাপদ অভিবাসন, অভিবাসীদের মৌলিক পরিষেবা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা, জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রযুক্তির টেকসই হস্তান্তর এবং ফিলিস্তিন সম্পর্কিত বিষয়সমূহ তার বক্তব্যে উঠে আসতে পারে।

তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। তিনি নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, নেপালের প্রধানমন্ত্রী, ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘ মানবাধিকার সম্পর্কিত হাইকমিশনার, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট, ইউএসএইডের প্রশাসক প্রমুখ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়ে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

অনেক বৈঠকের সিদ্ধান্ত শেষ মুহূর্তেও হয়ে যায় উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সে বিবেচনায় নতুন করে কারো সঙ্গে বৈঠক তালিকায় যোগ হতে পারে, আবার সময়ের অভাবে কোনো বৈঠক বাদও যেতে পারে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, ইতালির প্রেসিডেন্ট এবং কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্সের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজনের আলোচনা চলমান রয়েছে। এছাড়া চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে আলোচনা চলছে।

সব মিলিয়ে নিউইয়র্কে ৫৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল যাবে জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নিরাপত্তাসহ মোট ৫৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল যাবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মতো এবার বাংলাদেশ থেকে শতাধিক সদস্যের প্রতিনিধি দল চার্টার্ড বিমানে নিউইয়র্ক সফর করবে না। বরং যার যেই সংশ্লিষ্টতা বা দায়িত্ব, সে অনুযায়ী যতটা সম্ভব সীমিত আকারে প্রতিনিধি দল গঠন করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অবশ্যই ব্যয় সংকোচ করতে হবে। অবশ্যই অপ্রয়োজনীয় কোনো খরচ করা যাবে না। কিছু বিষয় আছে আমরা চাইলেও সংকোচন করতে পারি না। এর মধ্যে নিরাপত্তা সবার উপরে। সব মিলিয়ে সদস্য সংখ্যা হবে ৫৭ জন। তার মধ্যে বড় একটি অংশ নিরাপত্তা ও প্রেস। সেখানে যাদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কেবল তারাই যাচ্ছেন।

এ সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা শেখ হাসিনা সরকারের আমলে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে যাওয়া বহরের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, আগে যারা বড় বহর নিয়ে যেতেন, তারা কেন সেটা করতেন তা আমি বলতে পারব না। হয়তো এটার কোনো অর্জন ছিল, কিন্তু আমার জানা নেই। স্বাভাবিক সময়ে সংখ্যা ছিল ৩৪৪, ৩৩৫; এটা ছিল ৭৩ ও ৭৪তম অধিবেশনে। কোভিডের কারণে ৭৫তম হয়েছে ভার্চুয়ালি। কোভিডের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ৭৬তম অধিবেশনে ১০৮, ৭৭তম অধিবেশনে ১৩৮ জন গিয়েছিলেন। কোভিড-পরবর্তী সময় যখন ব্যয় সংকোচনের কথা বলা হচ্ছিল তখনও ১৪৬ জনের বহর নিয়ে নিউইয়র্কে যায় বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের অগ্রাধিকার ইস্যুগুলো প্রত্যেকটি বাংলাদেশের জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই ইস্যুগুলোর ওপর যেসব ইভেন্ট আছে, বাংলাদেশ তার সব ক’টিতেই সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বাংলাদেশ জাতিসংঘসহ বহুপাক্ষিক কূটনীতিকে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে মনে করে। সার্বিক বিবেচনায় এবারের অধিবেশনে উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে বিস্তৃত ও সুদৃঢ় করবে আশা করা যাচ্ছে।

নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি বৈঠক হচ্ছে কি না জানতে চাওয়া হলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ওনাদের দুজনের (ইউনূস-মোদি) উপস্থিতি নিউইয়র্কে একসঙ্গে হচ্ছে না। কারণ, মোদি একটু আগে চলে আসছেন। আর আমাদের প্রধান উপদেষ্টা একটু দেরিতে যাচ্ছেন। কাজেই তাদের ওখানে দেখা হওয়ার সম্ভবনা নেই বলেই মনে হচ্ছে।

দুই দেশের সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণে কি নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি বৈঠক হচ্ছে না? জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমাদের তো অনেক কথা পছন্দ না হতে পারে। কাজেই ওনার কথা আমার পছন্দ হলো না বা আমার কথা ওনার পছন্দ হলো না, এটা নিয়ে আমার মনে হয় খুব বেশি বিচলিত হওয়ার কারণ নেই। এ কারণে তো এমন নয় বাংলাদেশ এখান থেকে বহুদূরে অবস্থিত হয়ে যাবে আর ভারত চলে যাবে অন্য কোথাও। প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদশের পাশে থাকবে না।

পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবেশী যেহেতু পরিবর্তন হয় না, কথা কারো পছন্দ হোক বা না হোক। ভারতের উচ্চ পর্যায় থেকে বিভিন্ন সময়ে অগ্রহণযোগ্য কথাবার্তা হয়েছে। আমার মনে হয়, এটা এতটা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা না করাই উচিত। উনি দেখা করবে না বিষয়টা এমন নয়। আসলে সময় ওভারলেপ করছে না। এটাকে আমরা ধরে নেব। দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে আলাপ-আলোচনা রাখতেই হবে। এটা ভারতেরও লাগবে আমাদেরও লাগবে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাতের বিষয়টি অনিশ্চিত থাকলেও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাক্ষাৎসহ ও তার আমন্ত্রণে নৈশভোজে অংশ নেবেন।

জাতিসংঘে ভারতীয় মিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২১-২২ এবং ২৩ সেপ্টেম্বর থাকবেন জাতিসংঘের কার্যক্রমে। শীর্ষ সম্মেলনে মোদির প্রতিনিধিত্ব করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই নিউইয়র্কে ড. ইউনূসের সঙ্গে মোদির বৈঠক অথবা সাক্ষাতের এ মুহূর্তে কোনো সম্ভাবনা নেই।

অন্যদিকে ২৪ সেপ্টেম্বর জেএফকে এয়ারপোর্টে ড. ইউনূসকে কালো পতাকা প্রদর্শনসহ ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানোর প্রস্তুতি চলছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। কানাডা ও আমেরিকার বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, শেখ হাসিনা পরিষদের সমর্থকরা জেএফকে এয়ারপোর্টে উপস্থিত হবেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এছাড়া ২৭ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনেও ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।