বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের পতনের পর বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের কিছুটা টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। যদিও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দিক থেকে বাংলাদেশ ও ভারত ব্যক্তির চেয়ে রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর নজির রয়েছে। সেদিক থেকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনে আলোচনার ফাঁকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এটিই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের কোনো বৈঠক হতে যাচ্ছে। বৈঠকটির সূচি চূড়ান্ত করতে দুই দেশের পররাষ্ট্র দপ্তর কাজ করছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক জাগরণ।
জানা গেছে, বৈঠকে জয়শঙ্কর বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং সংখ্যালঘুদের উপর কথিত অত্যাচারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়া ঢাকা ও দিল্লির দীর্ঘদিনের কাজ করার যেসব অঙ্গীকার তা পুনর্ব্যক্ত করা হবে।
এদিকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা কম বলে জানা গেছে। যদিও ভারতের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন দুজনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের কাছ থেকে ফেরত চাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। যদিও ঢাকার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে দিল্লিকে কোনো অনুরোধ জানানো হয়নি।
শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় বাংলাদেশে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘু ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ওই সময় ভারতীয় মিডিয়ায় এ নিয়ে অসংখ্য মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস পরবর্তীতে এ নিয়ে একটি বিবৃতি দেন। এতে তিনি জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। তিনি ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশে এসে এ নিয়ে প্রতিবেদন করারও আহ্বান জানান।
