ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাংলাদেশ-ভারতের উচ্চ পর্যায়ের প্রথম বৈঠক

পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস

পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রথম বাংলাদেশ-ভারতের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিউইয়র্কের সময় অনুযায়ী গত সোমবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এ বৈঠক হয়। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেয়ায় বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে কিছুটা টানাপড়েন দেখা দিয়েছে।

এই টানাপড়েন নিরসনে দুই দেশের পররাষ্ট্র পর্যায়ে বৈঠক হয়। জয়শঙ্কর এক্স-পোস্টে বৈঠকের ছবি দিয়ে জানান, তারা বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। পতনের পর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এই প্রথম ভারতীয় উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে বৈঠক এটি।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ইস্যু, সীমান্ত হত্যা, পানি ব্যবস্থাপনা, ইলিশ রপ্তানি, বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতীয় ভিসা না দেয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় ভারতীয় গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন কিংবা রং লাগানো সংবাদও ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শুধু তাই নয়, দুই দেশের দায়িত্বশীলদের বক্তব্য সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসনামলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক ‘সোনালি অধ্যায়’ হিসেবে দেখেছে দুই দেশের সরকার। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে একধরনের অচলাবস্থা দেখা দেয়। এখন সম্পর্ক সচল করতে বিভিন্ন উপায়ে সক্রিয় রয়েছে ভারত।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেলিফোনে কথা বলেছেন। মোদি এ ক্ষেত্রে ভারতের বৈশ্বিক মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সহযোগিতা চেয়েছেন। অন্যদিকে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের বৈঠকটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সরকার। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে একধরনের অচলাবস্থা দেখা দেয়। এখন সম্পর্ক সচল করতে বিভিন্ন উপায়ে সক্রিয় রয়েছে ভারত। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেলিফোনে কথা বলেছেন। মোদি এ ক্ষেত্রে ভারতের বৈশ্বিক মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সহযোগিতা চেয়েছেন। অন্যদিকে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের বৈঠকটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত