ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন

অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আবু সাঈদের মৃত্যু

অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আবু সাঈদের মৃত্যু

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে রংপুরে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মিলেছে শর্টগানের গুলির চিহ্ন। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে গণমাধ্যমের হাতে আসা আবু সাঈদের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। এর আগে গত ১৬ জুলাই রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে

এটিকে হোমিসাইডাল বা হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলার আইনজীবী বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রমাণ করে এটি ছিল হত্যাকাণ্ড। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মামলাটি এখন পিবিআই তদন্ত করছে। আবু সাঈদ হত্যা মামলার ময়না তদন্তের প্রতিবেদন সম্পর্কে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের কাছে জানতে চাইলে তারা কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

কিন্তু ঘটনার সঙ্গে জড়িত এজাহার নামীয় আসামি দুই পুলিশ সদস্য ছাড়া আর কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারে নাই। আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন তার সহপাঠীরা। মৃত্যুর আড়াই মাস পর পাওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, শর্টগানের গুলির আঘাতে আবু সাঈদের শরীরে অসংখ্য ছিদ্র তৈরি হয়। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় আবু সাঈদের। এ ছাড়া, তার মাথার মধ্যভাগ থেকে পশ্চাৎ ভাগ পর্যন্ত আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

আবু সাঈদ হত্যা মামলার প্যানেল আইনজীবী রোকনুজ্জামান বলেন, তার মাথার আঘাতের চিহ্ন সুস্পষ্ট। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলির ক্ষত। সবকিছু মিলে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রমাণ করে, এটি হত্যাকাণ্ড। ফলে এ হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কেউ ছাড়া পাবে না।

নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন আবু সাঈদের সহপাঠীরা। তারা বলছেন, এ হত্যাকাণ্ডের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও দায়ী। তাদের অভিযোগ ওই দিন আন্দোলন দমন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা কর্মচারী ও শিক্ষক পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করেছে। আমরা চাই সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হউক। গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। বেরোবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ। এ ঘটনায় ১০ পুলিশ সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে রপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী। এ মামলায় এজাভুক্ত আসামি দুই পুলিশ সদস্য ছাড়া আর কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারে নাই পুলিশ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত