ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেবে সবল ১০ ব্যাংক

দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেবে সবল ১০ ব্যাংক

দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা হিসেবে ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে সবল ১০ ব্যাংক। এক্ষেত্রে সার্বিকবিষয়টি তদারকি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বুধবার এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা। তিনি বলেন, ‘চলতি মূলধনের জায়গায় ঘাটতি রয়েছে। এ ধরনের ব্যাংকগুলোকে সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ৫টি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে, ২টি ব্যাংক এখনও অপেক্ষমাণ অবস্থায় আছে। তারা আমাদের কাছে আবেদন করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো ব্যাংক অন্য ব্যাংকের কাছ থেকে তারল্য সহযোগিতা পায়নি। তারই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে বুধবার একটি সভা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি ব্যাংক অংশগ্রহণ করেছে।’ তিনি অবশ্য ব্যাংক ১০টির নাম বলেননি। হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘দুর্বল ব্যাংককে দেয়া ঋণের টাকা ফেরত চাইলে সবল ব্যাংকগুলোকে তিন দিনের মধ্যেই ফেরত দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।’ তিনি জানান, কোনো ব্যাংক চাইলে ঋণের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নির্ধারণ করতে পারবে না। কোনো ব্যাংককে কত টাকার তারল্য সহায়তা দেয়া হবে, সেটি নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া দুই ব্যাংকের সমঝোতার ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারণ হবে বলেও জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে তারল্য সংকটে পড়া দুর্বল ব্যাংকগুলো তুলনামূলক সবল ব্যাংক থেকে ধার পাবে। এর আগে বুধবার বিকালে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে কীভাবে তারল্য সহায়তা দেয়া যায়, সে ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেন সবল ১০টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা। বৈঠক শেষে তারা সাংবাদিকদের বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টাকা দেয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারি থাকবে। আর কোনও ব্যাংক চাইলেই ঋণের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নির্ধারণ করতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা থাকবে। এ লক্ষ্যে এরইমধ্যে ৫টি ব্যাংক আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে। তারল্য সহায়তা পেতে যেসব ব্যাংক চুক্তি সই করেছে, সেগুলো হচ্ছে- বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টির মানে হলো- কোনো কারণে এসব ব্যাংক ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই টাকা দেবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি টাকা না দিয়ে অন্য ব্যাংক থেকে ধারের ব্যবস্থা করছে। অর্থাৎ বাজারের টাকা এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে যাবে। ফলে মূল্যস্ফীতির ওপর বাড়তি প্রভাব পড়বে না।

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগের মতো টাকা ছাপিয়ে তারল্য সহায়তা দেবে না। তবে ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক মুদ্রা সরবরাহের মাধ্যমে এ সহায়তা নিতে পারে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত