নতুন নতুন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

দেশ পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখতে চায় তারা

প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আমিরুল ইসলাম অমর

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে নতুন নতুন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটছে। এসব রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা প্রস্তাবনা ও দাবি তুলে ধরছে। তারা দেশ পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখতে চায়।

জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন : সম্প্রতি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করে দেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক ও আখতার হোসেনকে সদস্যসচিব করে ৫৫ সদস্যের জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এবি পার্টির সহকারী তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে এবি পার্টি সূত্রে জানা গেছে। এ বি পার্টিতে যোগ দেওয়ার আগে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। আর নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক। তিনি ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র করা হয়েছে সামান্তা শারমিনকে। কমিটি ঘোষণার পর তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে কাজ শুরু করছে। অচিরেই সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে তারা আলোচনা করবে। তৃণমূল পর্যন্ত এ কমিটির বিস্তৃতি ঘটানোর মাধ্যমে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাবে।

এ সময় সামান্তা শারমিন এই কমিটির আটটি প্রাথমিক কাজের কথা তুলে ধরেন। সেগুলো হলো: ১. ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হওয়া সামষ্টিক অভিপ্রায় ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত রাখা। ২. ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত নির্মম হত্যাযজ্ঞে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা। ৩. রাষ্ট্রের জরুরি সংস্কার ও পুনর্গঠন করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা ও জবাবদিহির পরিসর তৈরি করা। ৪. বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগের সঙ্গে আলোচনা, মতবিনিময় ও গণমুখী কর্মসূচির মাধ্যমে সর্বস্তরের জনতাকে সংহত করার লক্ষ্যে কাজ করা। ৫. দেশের সর্বস্তরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্বকে সংহত করে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা সমুন্নত করে রাখার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখা। ৬. জনস্বার্থের পক্ষে নীতি নির্ধারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক সংলাপের আয়োজন করা। ৭. রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতিনির্ধারণী প্রস্তাবনা তৈরি ও সেটা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক পদক্ষপে গ্রহণ করা। ৮. গণপরিষদ গঠন করে গণভোটের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরির জন্য গণআলোচনার আয়োজন করা।

আত্মপ্রকাশ করলো নতুন রাজনৈতিক দল ‘সার্বভৌমত্ব আন্দোলন’ : নতুন রাজনৈতিক দল সার্বভৌমত্ব আন্দোলনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিকেল ৩টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলটি তাদের কার্যাবলী ও লক্ষ্য তুলে ধরে।

নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে দলটি জানায়, বিপ্লবী ছাত্র-জনতা ও বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের নির্দলীয় একটি রাজনৈতিক সংগঠন হচ্ছে সার্বভৌমত্ব আন্দোলন। নির্বাচন বা ক্ষমতার জন্য নয়, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, রাষ্ট্র বিনির্মাণে ও দেশ পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে সার্বভৌমত্ব আন্দোলন।

যারা সবসময় দেশ, মাটি ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিত থাকবে। বদ্ধ পরিকর থাকবে দেশের প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেও সার্বভৌমত্ব রক্ষায়।

দলটির প্রাথমিক পর্যায়ে উপদেষ্টা রয়েছে ৭ জন। তারা হলেন, কর্নেল মশিউজ্জামান, সাবেক রাষ্ট্রদূত সাকিব আলী, হেলাল উদ্দিন, ফজলুল সাত্তার, ড. মেজর সিদ্দিক, লেফট্যানান্ট কর্নেল তোফায়েল, এআইজি মালেক খসরু। সংগঠক রয়েছেন ১০ জন ও সহ-সংগঠক ৮৩ জন।

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি সাকিব আলী, সংগঠক মাহমুদউল্লাহ মধু, গণফোরামের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীসহ অন্যান্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে তারা ছয়টি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- সংবিধান পুনঃলিখনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণ প্রজাতন্ত্রের পরিবর্তে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা।

বৈদেশিক শক্তির যেকোনো আগ্রাসন মোকাবিলায় প্রাপ্তবয়স্কদের (যাদের বয়স নূন্যতম ১৮-৪০) পর্যায়ক্রমে ন্যূনতম তিন মাসের সামরিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে। কোনো একক দেশ বা শক্তির প্রতি আনুকূল্যের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক পরিসরে ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন করতে হবে। যেহেতু দেশ ও সার্বভৌমত্বের মূল মালিক জনগণ তাই সব বৈদেশিক চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। তবে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিরক্ষা ও সংবেদনশীল চুক্তি সমূহের গোপনীয়তা রাখা যাবে। শেখ হাসিনার শাসন আমলে সম্পাদিত দেশ জনতার সার্বভৌমত্ব বিরোধী সব বৈদেশিক চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে এবং ওই সময়কালে সম্পাদিত জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থি সকল বৈদেশিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।

এছাড়া তথাকথিত বন্ধুত্বের নামে বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক উপাদানকে অন্য কোনো দেশের অধিনস্ত না করা, যাতে বাংলাদেশ অন্য কোনো দেশের ওয়্যার থিয়েটার (যুদ্ধের মাঠ) পরিণত না হয়। অভিন্ন আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উদ্যোগ নেওয়ার দাবিও জানানো হয়।

রাষ্ট্র সংস্কারে নতুন বাংলাদেশ’র ৮ প্রস্তাবনা : গবেষণাভিত্তিক সামাজিক সংগঠন ‘নতুন বাংলাদেশ’ এর উদ্যোগে ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ঢাকার জাতীয় ক্রিয়া কমপ্লেক্সের পুষ্পদাম চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এ ‘চলমান রাজনীতি আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৮ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। নতুন বাংলাদেশ’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক পরিবেশবিদ বাপ্পি সরদারের সভাপতিত্বে ‘নতুন বাংলাদেশ’র সমন্বয়কারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মহসিন সিকদার পাভেলের সঞ্চালনায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি শাহ মো: আবু জাফর, সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. ইঞ্জি. মো: রফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: আব্দুর রহিম, বিকল্প ধারার সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য এনায়েত কবির, কূটনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিবলী সাদিক, সহ শতাধিক সংগঠক। আলোচনায় চলমান রাজনীতি নিয়ে আলোচকরা বর্তমান সরকারকে সমর্থনের পাশাপাশি উপদেষ্টা পরিষদে তরুণ প্রজন্মের আরও বেশ কয়েকজন সুনাগরিককে নিয়োগ দেয়ার দাবি জানান।

নতুন বাংলাদেশ’র পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত ৮ দফাগুলো : ১) সর্বস্তরের দুর্নীতি বন্ধে পার্লামেন্টারি নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে সরকার ও রাজনৈতিক দলের ভারসাম্যতা নিশ্চিত করতে জনপ্রতিনিধি ও নাগরিকদের সমন্বয়ে ‘প্রতিনিধিত্বশীল সরকার’ ব্যবস্থার প্রবর্তন করা। ২) স্থায়ী সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন এবং বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সাবেক বিচারপতি ও সিনিয়র আইনজীবীদের সমন্বয়ে ‘জুডিশিয়াল সিলেকশন প্যানেল’ গঠন এবং বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্ট ডিভিশন চালু করা। ৩) নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে স্থায়ীভাবে ক্যাডার ও নন ক্যাডারদের মধ্য হতে নির্বাচন কমিশনার নির্বাচিত করা এবং দল নিবন্ধন আইনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হলে রাজনৈতিক দলের প্রতীক বরাদ্দ নিশ্চিত করা। স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর স্থায়ীভাবে বাতিল করা। ৪) বেকারত্ব দূরীকরণে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি এসএসসি পাঠ্যক্রমের পরে কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করে ২৬ বছর বয়সের মধ্যে সরকারি চাকরি নিশ্চিত করা, বেসরকারি কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে জেলাভিত্তিক শিল্প স্থাপন জোরদার এবং বিদেশে টাকা পাচার রোধে অঞ্চলভিত্তিক বিনিয়োগ সহজীকরণ করা। ৫) জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে পরিবেশ বিপর্যয়ের ভয়াবহতা তুলে ধরা, ক্লিন ভিলেজ— গ্রিন ভিলেজ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গ্রাম ভিত্তিক সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি বাস্তবায়ন, শিশু শ্রেণি ও প্রাইমারি স্কুল পর্যায়ে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা এবং নারীর জীবনমান উন্নয়নে ‘জাতীয় নারী উন্নয়ন কমিশন’ গঠন করা। ৬) সরকারের পক্ষ থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দক্ষ শ্রমিক বিদেশ পাঠাতে জেলাভিত্তিক কারিগরি প্রতিষ্ঠান স্থাপন, নতুন নতুন শ্রমবাজার তৈরি করতে ‘জাতীয় লেবার হেল্পিং কাউন্সিল’ প্রতিষ্ঠা, প্রবাসীদের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠন, বিনামূল্যে মৃত প্রবাসী শ্রমিকের লাশ দেশে আনার ব্যবস্থা করা। ৭) সর্বস্তরে মেধাভিত্তিক নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে ‘জাতীয় নিয়োগ কমিশন’ গঠন এবং যে কোনো বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার তদন্ত ভুল প্রমাণিত হলে শাস্তির পাশাপাশি চাকরিচ্যুতির বিধান চালু এবং স্বাধীন গণমাধ্যম নিশ্চিত করতে জাতীয় প্রেস কাউন্সিলকে শক্তিশালী করা। ৮) রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করা এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মেয়াদকালে জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের যেকোনো নাগরিক আদালতে মামলা করতে পারবে এমন বিধান চালুর পাশাপাশি ক্ষমতার মেয়াদকালে জনগণ চাইলে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি বাতিল করতে পারবে।

‘জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি’ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ : দেশে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। দলটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি’। গত ৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন এই দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। দলটির চেয়ারম্যান এস এম শাহাদাত নতুন এই দলের ঘোষণা দেন।

৩১ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটিতে সাইফুল আলমকে মহাসচিব এবং মীর আমির হোসেন আমুকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। তারা জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটভুক্ত জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) থেকে বের হয়ে এসে নতুন এই রাজনৈতিক দল গঠন করলেন।

এস এম শাহাদাত জাগপার সাধারণ সম্পাদক, সাইফুল আলম যুগ্ম সম্পাদক এবং মীর আমু যুব জাগপার সভাপতি ছিলেন।

‘সমতা পার্টি’ নামে রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ : ‘সমতা পার্টি’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সব নাগরিকের মৌলিক অধিকারের সমতা, বিশ্বাস ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, উদার গণতন্ত্র এই তিন মূল নীতির ভিত্তিতে নতুন এই রাজনৈতিক দলটি আত্মপ্রকাশ করে।

হানিফ বাংলাদেশীকে আহ্বায়ক হিসেবে রেখে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে বক্তারা বলেন, ‘দেশের নিবন্ধিত অনিবন্ধিত অনেক দল আছে, সব দলের মতাদর্শ ভিন্ন। আমাদের দলের মূল লক্ষ্য মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির, বেকারত্ব দূরীকরণ, চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি।’

‘নিউক্লিয়াস পার্টি’ নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ: বৈষম্যমুক্ত ও নিরাপদ বসবাসযোগ্য রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে ‘নিউক্লিয়াস পার্টি’ নামে একটি নতুন জাতীয় রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব উন্নয়ন সংসদের উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ সিদ্দিক হোসাইন এবং প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এসএমডি জিদান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, সংগঠনটির মূলনীতি হলো বৈষম্যমুক্ত এবং নিরাপদ বসবাসযোগ্য রাষ্ট্র বিনির্মাণ। অর্থাৎ এমন একটি দেশ গড়ে তোলা হবে, যেখানে প্রতিটি মানুষ সমানভাবে জীবনযাপন করতে পারবে, থাকবে না কোনো বৈষম্য, থাকবে না কোনো আহাজারি, থাকবে না কোনো জুলুম, অত্যাচার ও নিপীড়ন, থাকবে শুধু শান্তি, শৃঙ্খলা আর হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা।