মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আজ ঢাকায় আসছেন

প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এটি হবে কোনো বিদেশি সরকারপ্রধানের প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সফর হবে খুবই সংক্ষিপ্ত। তিনি শুক্রবার দুপুর ২টায় পাকিস্তান থেকে ঢাকায় আসছেন। আবার একই দিন রাত ৮টার দিকে ঢাকা ছাড়বেন।

গত মঙ্গলবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার মন্ত্রিসভার সদস্য, উপমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ৫৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল থাকবে। তৌহিদ হোসেন বলেন, সফরের সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন এবং ঢাকায় একদিনের অবস্থানকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমই প্রথম সরকারপ্রধান যিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানান।

তৌহিদ হোসেন বলেন, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত এই সফরের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, বৈঠকে দুই সরকার প্রধানের আলোচনায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা, রাজনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শ্রম অভিবাসন, শিক্ষা, প্রযুক্তি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় প্রাধান্য পাবে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ চলমান রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলার পাশাপাশি আসিয়ান কাঠামোর মধ্যে ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নিতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চাইবে বলে আশা করা হচ্ছে। তৌহিদ হোসেন আরো বলেন, আমরা সব বিষয়ে আলোচনা করব এবং আশা করব আসিয়ান সদস্য হিসেবে মালয়েশিয়া রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, ২০২৫ সালে আসিয়ানের মালয়েশিয়ার সভাপতিত্ব এবং গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলোতে আরো আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রত্যাশা নিয়েও আলোচনা হবে।

এ সফর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে অংশীদারিত্ব আরো জোরদার করবে, একাধিক খাতে সহযোগিতা বাড়াবে এবং কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো গভীর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ঢাকায় পৌঁছলে দুই দেশের ঘনিষ্ঠ ও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের প্রতিফলন হিসেবে তাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্বাগত জানানো হবে।