স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম বলেছেন, নিহতের যে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে সেটি কিন্তু সর্বশেষ তালিকা না। কারণ তখন পর্যন্ত আহতদের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছিল। স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস সিস্টেমে আপডেট করা হচ্ছে। গতকাল সোমবার পর্যন্ত আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, সেখানে ৭৩৭ জন নিহতের তথ্য আছে। এবং এগুলো আমাদের যাচাই করা। ছাত্রদেরও কিছু তথ্য আছে, দেড় হাজারের ওপরে, সেগুলো আমরা তাদের সঙ্গে সমন্বয় করছি। তাদের তালিকা আমাদের কাছে এলে আমরা দেখবো। কারণ কোনো কোনো ক্ষেত্রে ওভারল্যাপিং হতে পারে। সেগুলোকে বাদ দিলে আসল তালিকা পাওয়া যাবে। সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। নুরজাহান বেগম বলেন, তালিকা করার সময় নিহতদের ক্ষেত্রে আমাদের বেশ কিছু সমস্যায় পড়তে হয়েছে। হাসপাতালে যারা ভর্তি হয়েছেন, অনেককেই তো মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। ওই সময় তাদের কারো কারো ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল, ‘ডেথ সার্টিফিকেট লাগলে পোস্টমর্টেম করতে হবে, পুলিশ কেস করা লাগবে’। এগুলো করার ভয়ে অনেকেই লাশ নিয়ে গেছে। আবার কিছু কিছু এসেছে তাদের পরিবারের ঠিকানা ভুল লেখা ছিল। কারণ তারা ভয় পেয়েছে। কাজেই যেই ভুল ঠিকানা দেওয়া হয়েছে আমাদের সেটি নিয়েই কাজ শুরু করতে হয়েছে। আমাদের এগুলো প্রত্যেকটি ঠিকানা ভেরিফাই করতে হয়েছে। এগুলো এখন আমাদের হাতে রয়েছে, ভেরিফাইড করা। ছাত্রদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তাদের তালিকাটি নিয়ে ডিসি এবং সিভিল সার্জন পর্যায়ে এগুলো পাঠিয়ে দেবো, সেখান থেকে তথ্য নিয়ে আমরা সেগুলো ভেরিফাই করবো এবং কনফার্ম করবো নিহতের সংখ্যা আসলে কত। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত ৭৩৭ জনের ভেরিফাই করা তথ্য আছে। আহতদের সংখ্যা প্রায় ২৩ হাজার। আহতদের বিষয়ে তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন চোখে আঘাতপ্রাপ্ত, তারা সবাই হাসপাতালে ভর্তি ছিল। আবার হাত-পা কাটা গেছে এমন অনেক আছে, তাদের আমাদের তালিকার মধ্যে আনা হয়েছে। যারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল সেগুলো তথ্য সব যাচাই করা। এর মধ্যে ৩৫ জন দুইটি চোখ হারিয়েছে। ২২ জন কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনের তালিকায় আছে। তবে এই সংখ্যা আরো কিছু বাড়তে পারে।